বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আহমেদাবাদের নিষ্প্রাণ পিছে প্রায় দুই দিন ব্যাটিং করে ভারতীয় দলের (Team India) ওপর ৪৮০ রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম তিন টেস্টে ব্যাটারদের বধ্যভূমি থেকে আহমেদাবাদে এসে যেন স্বর্গদ্যানের সন্ধান পেয়েছিলেন অজি ব্যাটাররা। যে অস্ট্রেলিয়ার কোন ব্যাটার ইন্দোর টেস্ট (Indore Test) পর্যন্ত শতরানের গন্ডি অতিক্রম করতে পারেনি সেই দলেরই ২ ব্যাটার উসমান খাওয়াজা (১৮০) এবং ক্যামেরন গ্রিন (১১৪) অসাধারণ ব্যাটিং করে সেই খরা কাটিয়েছেন। আরো বড় রান তারা বোর্ডে তুলতেই পারতো যদি না ভারতীয় দলে থাকতেন রবি অশ্বিন (Ravi Ashwin)।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে তার যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল। পিচে সাহায্য না থাকলে যে তিনি একেবারেই অকেজো, এমন দাবি করা হয়েছিল অনেক জায়গা থেকেই এবং হয়তো একসময় তার যথার্থতাও ছিল। কিন্তু ভারতীয় অফস্পিনার ওই সমালোচনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে ক্রমে ক্রমে আরো ধারালো করে তুলেছেন এবং যে আহমেদাবাদ টেস্টে বোলারদের জন্য কোনও সাহায্যই ছিল না সেখানে তিনি কৃপণ বোলিং করে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট।
পরিসংখ্যান বলছে যে অনিল কুম্বলেকে তিনি আরও একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পেছনে ফেলে দিলেন আজ। ঘরের মাটিতে ৫৫ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২৫ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল কিংবদন্তি লেগস্পিনারের নামে যা ভারতের মাটিতে সর্বোচ্চ। কিন্তু আজ ২৬ বার সেই কীর্তি গড়ে কুম্বলের থেকে ৮টি টেস্ট কম খেলেই ওই রেকর্ড ভাঙলেন অশ্বিন।
সেই সঙ্গে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অর্থাৎ ভারত অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দ্বৈরথে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচকে। কুম্বলের নামের পাশে ছিল ১১১ উইকেট। তাকে টপকে ন্যাথান লিয়নের (১১৩) সঙ্গে এক সারিতে বসেছেন অশ্বিন। এই টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কার ঝুলিতে বেশি উইকেট থাকে সেটাও দেখার মত ব্যাপার।
আশা করা হচ্ছে তৃতীয় ইনিংসে যখন ভারত ফের বোলিং করবে তখন পিচে স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকবে এবং অশ্বিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারবেন। তার আগে ব্যাট হাতেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হতে পারে। কারণ পিচ আপাতত ব্যাটিং বান্ধব। যদিও তৃতীয় দিন থেকে পিচ কেমন আচরণ করবে সেই ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নন কেউই।