বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত অর্থবর্ষের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১শে মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) বাতিল করে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স। এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। আপনাদেরও যদি এই ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে কোনও একটিতেও অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে এই প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।
জানা গিয়েছে, জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। ২০২৩ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বাতিল করেছে আটটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স (License)। নিয়ম অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ১০০ বারেরও বেশি জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দ্রুত করার জন্য কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব যথেষ্ট। তবে এই ব্যাঙ্কগুলির ভুল সিদ্ধান্ত, দুর্বল অর্থনীতি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব এই ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত এক বছরে বাতিল হয়েছে আটটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স।
আরবিআই যে ব্যাঙ্কের লাইসেন্সগুলি বাতিল করেছে সেগুলি হল মুঘল কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, মিলথ কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্ক , শ্রী আনন্দ কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, রূপী কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, ডেক্কন আর্বন কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, লক্ষ্মী কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক, বাবাজি দাতে মহিলা আর্বান ব্যাঙ্ক। ফলে, এই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সমস্যা তৈরী হবে।
পুঁজির অভাব, নিয়ম বহির্ভূত কাজ, নির্দেশ না মানার জন্য প্রধানত এই কো-অপারেটিভ ব্যাংকগুলির লাইসেন্স বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। নিয়ম বহির্ভূত কাজের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বাতিল করেছিল ১২টি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স। একইভাবে আরবিআই ২০২০-২১ সালে ৩টি ও ২০১৯-২০ সালে ২টি কো-অপরেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে।