বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আট বছরের উপর দেশে ক্ষমতা কায়েম করে রয়েছে বিজেপি সরকার। এরই মাঝে 500 ও 1000 টাকার নোট বাতিল থেকে শুরু করে জিএসটির মতো সরকারের একাধিক নতুন চিন্তাভাবনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। এছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেনের উপরেও জোর দিয়েছে মোদি সরকার। তবে তাদের এত প্রয়াস সত্বেও বর্তমানে দেশের অর্থব্যবস্থা ক্রমশ সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর্থিক ব্যবস্থা হল যে কোন দেশের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। যেকোনো দেশের আর্থিক ব্যবস্থা যদি নড়েচড়ে বসে, তাহলে সেই দেশের ভবিষ্যৎ ক্রমশ তলানীতে গিয়ে ঠেকে। বর্তমানে উদাহরণ স্বরূপ শ্রীলঙ্কা দেশের হাল গোটা বিশ্ব দেখছে, যেভাবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেই দেশটি এবং দেশের সমস্ত জনগণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ। তবে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক শ্রীলঙ্কার থেকে যে অনেকটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বর্তমানে তেল, পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাস সহ একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে ক্রমশ মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের।
ক্রমশ বেড়ে চলেছে জ্বালানির দাম। এদিনই রান্নার গ্যাসের দাম পুনরায় 50 টাকা বৃদ্ধি করল সরকার। তবে এসব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে বর্তমানে আরবিআই-এর একটি ঘোষণা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন যে, আরবিআই দ্বারা রেপো রেট 0.40 শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্বভাবতই, এর ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশা আরো বাড়তে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
মনে করা হচ্ছে, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এছাড়াও গাড়ি-বাড়ি সহ একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে আপনারা যে লোন নিয়ে চলেছেন, সেই লোন বাবদ সুদের হার বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে সাধারণ মানুষের পকেটেও টান পড়বে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ব্যবসার হাল তথৈবচ আর সেই পরিস্থিতি আরো তলানিতে গিয়ে ঠেকবে আরবিআই-এর এই নির্দেশের পর। ফলে বর্তমানে কেন্দ্র সরকার কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।