বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মরশুমে প্রথম হারের মুখ দেখলো সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস। বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম হারের মুখ দেখলেন বাটলাররা। সেইসঙ্গে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে পরপর দুই ম্যাচ জিতে দুরন্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ফ্যাফ দু প্লেসিসের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
টসে জিতে আজ প্রথমে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ফ্যাফ। প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর ফের একবার ব্যর্থ হন তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। বাটলারের সাথে মিলে ইনিংসকে সামলান দেবদত্ত পাডিকল। পিচ খুব একটা ব্যাটিং উপযোগী ছিল না। কিন্তু তার মধ্যেও নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে ভালো টাচেই দেখা গিয়েছিল দেবদত্ত-কে। কিন্তু তিনি ৩৭ রান করে তার একসময়ের সতীর্থ হর্ষল প্যাটেলের শিকার হন।
অপরদিকটা ধরে রেখেছিলেন বাটলার। পিচের অবস্থা বুঝে নিজের উইকেটটা ধরে রেখেছিলেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন হেটমায়ার। শেষ দুই ওভারে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুজনেই। তাদের ইনিংসের ১৯ এবং ২০ তম ওভার মিলিয়ে মোট ৪২ রান তোলেন দুই ব্যাটার। ৩১ বলে ৪২ করে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। শুরুতে সামলে খেলে শেষদিকে মারাত্মক আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৪৭ বলে ৭০ রান করেন তিনি। ইনিংস ওপেন করে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করতে তাকে ১৯ তম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয়। আর তার ৭০ রানের ইনিংসে কোনও চার ছিল নস, ছিল ৬ টি বিশাল ছক্কা। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন হর্ষল প্যাটেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন আরসিবি ওপেনাররা। ফ্যাফ দু প্লেসিস (২৯) এবং অনুজ রাওয়াতের (২৬) মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু তারা দুজন আউট হওয়ার হওয়ার পর দ্রুত মিডিল অর্ডার ভেঙে পড়ে ব্যাঙ্গালোরের। দ্রুত ফিরে যান কোহলি, উইলি এবং রাদারফোর্ড। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারে আরসিবির হাল ধরেন শাহবাজ আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিক। দুজনেই দুরন্ত ব্যাটিং করেন। ৪৬ রান করে শাহবাজ আউট হন বোল্টের বলে। কিন্তু ২৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ব্যাঙ্গালোরের জয় নিশ্চিত করেন দীনেশ কার্তিক। নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিং করেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন যুজবেন্দ্র চাহাল (৪-০-১৫-২)।