বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজেদের গত ম্যাচে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল কোহলি-রোহিত দুই শিবিরকেই। আজ দুবাইতে তাই দুজনের সামনেই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। রবিবার ডবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুটা অবশ্য হয়েছিল তাদের মন মতই। এদিন খাতা খোলার আগেই দেবদূতকে সাজঘরে ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ।
তবে এরপর অবশ্য ম্যাচ ফের একবার মোড় নেয় ব্যাঙ্গালোরের দিকে। ক্যাপ্টেন কোহলির সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে সুন্দর ৩২ রানের ইনিংস উপহার দেন শ্রীকর ভরত। শুরুতে একটি সুযোগ দিলেও এদিন তারপর থেকে মোটামুটি একটি ‘নিট অ্যান্ড ক্লিন’ অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন কোহলিও। বিশেষত ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন মনে হচ্ছিল হয়তোবা ১৮০-৮৫ রানের টার্গেট রাখতে পারবে ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু তিনটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৫১ রানের ইনিংস খেলে কোহলি ঘরে ফিরতেই কার্যত যেন চাপে পড়ে যায় আরসিবি।
এরপর একই ওভারে অর্ধশত রানকারী ম্যাক্সওয়েল এবং ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে আরসিবিকে পরপর বড় ধাক্কা দেন বুমরাহ। যদিও ছটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ম্যাক্সওয়েলের ৫৬ রানের ইনিংস ছিল দেখবার মতো কিন্তু শেষটা ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ হয়নি ব্যাঙ্গালোরের জন্য। কার্যত পরপর উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রানেই ইনিংস শেষ করে আরসিবি। মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জসপ্রীত বুমরাহ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন চাহার, বোল্ট এবং মিলনে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন বড় ধাক্কা খায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসও। মারমুখী শুরু করলেও মাত্র ২৪ রানের মাথাতেই ডি কককে শিকার করেন চাহাল। এরপর ২৮ বলে ৪৩ রান করে ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে উঠতে থাকা রোহিতকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান ম্যাক্সওয়েল। চাপের মুখে এদিন ফের একবার পুরোপুরি ব্যর্থ হয় মুম্বাইয়ের মিডিল অর্ডার। ঈশান কিশান, হার্দিক, পোলার্ডদের মত ফায়ার পাওয়াররা কেউই আজ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেনি রোহিত ব্রিগেডকে। বরং ব্যাটের পর বল হাতেও একইভাবে জ্বলে ওঠেন ম্যাক্সওয়েল।
https://twitter.com/IPL/status/1442185089207742465?s=19
অন্যদিকে আগুন ঝরাচ্ছিলেন চাহাল এবং হর্ষল প্যাটেলও। কার্যত চাহাল এবং হর্ষল মিলেই শিকার করেন মুম্বাইয়ের সাত মহারথীকে। শুধু তাই নয় একইসঙ্গে হ্যাট্রিকও করেন তরুণ হর্শল প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১১১ রানেই অল আউট হয়ে যায় রোহিত ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে আপাতত তৃতীয় স্থানে উঠে এলো আরসিবি।