বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ কেটে গেলো ৯ বছরের খরা। শেষবার যখন রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) কোপা দেল রে জিতেছিল তখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজের কেরিয়ারের সেরা ছন্দে রয়েছেন। টনি ক্রুসের মতো ফুটবলারের তখনও রিয়ালে যোগ দেওয়া হয়নি, ফুটবল বিশ্ব তখন এমবাপ্পে, হাল্যান্ড, ভিনিসিয়াস, জুলিয়ান আলভারেজদের নামই শোনেনি। প্রত্যাশার প্রবল চাপ নিয়ে রিয়ালে আসা কোনও এক ওয়েলশ ফুটবলার সেবার প্রমাণ করেছিলেন স্পেনের রাজধানীতে তিনি এসেছেন লম্বা রেসের ঘোড়া হতেই। আর আজ তার জায়গায় এক তরুণ ব্রাজিলিয়ান জোড়া গোল করে আবারও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করলেন বড় মঞ্চে।
ভাবলে অবিশ্বাস্য লাগে যে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব দ্বারা গত দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপিয়ে বেরিয়েছে, তারা ২০১৪ সালের পর একবারও ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি এই ঘরোয়া স্প্যানিশ টুর্নামেন্টে। ২০১৪ সালের সেই ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি সিআরসেভেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এঞ্জেল ডি মারিয়া ও রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-এর বিনিময়ে ক্লাবে আসা ওয়েলশ উইজার্ড গ্যারেথ বেলের যুগলবন্দিতে সেবার লিওনেল মেসির বার্সাকে মরশুমে প্রথমবার হারিয়ে কাপ ঘরে তুলেছিল রিয়াল।
এবার অবশ্য সেমিফাইনালেই প্রতিপক্ষ বার্সেলোনাকে ৪-০ ফলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন করিম বেনজেমারা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওসাসুনা। লা লিগায় যারা এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে ১০ নম্বরে রয়েছে। কিন্তু দুই দলের মধ্যে চলতে মরশুমের একমাত্র সাক্ষাতে রিয়াল মাদ্রিদকে আটকে দিয়েছিল তারা। এই কারণে কিছুটা চাপ ছিলই ফুটবলারদের মনে।
শেষপর্যন্ত দেখা গেছে সত্যিই ওসাসুনার বিরুদ্ধে রিয়ালের জয় একেবারেই সহজ হয়নি। প্রথমার্ধেই একদম শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দলকে সমতায় ফিরিয়ে রিয়ালকে বেশ কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন লুকাস টোরো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭০ মিনিটে ম্যাচের জয় সূচক গোলটি করে ফের একবার রিয়াল সমর্থকদের মন যেটা নেন রদ্রিগো।
আজ রিয়ালের দুটি গোলই করেছেন তিনি। কিন্তু দুটি গোলের পেছনে আসল অবদান যার তিনি হলেন তরুণ প্রতিভাবান লেফট উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রতি ম্যাচেই কোনও না কোনও রাইট ব্যাককে নিজের পায়ের কাজে ধ্বংস করে দেওয়া যার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ দুটি গোলের ক্ষেত্রেই বাঁ উইং ধরে তার দুর্দান্ত পায়ের কাজে ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করার ছবিটা রিয়াল ভক্তদের মনে লেগে থাকবে। এছাড়া রিয়ালের সেন্টার ব্যাক ডেভিড অ্যালাবার শর্ট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান আরো বাড়তে পারতো রিয়ালের পক্ষে।