বাংলা হান্ট ডেস্ক: খাদ্য রসিক বাঙালির কাছে তো বটেই, সেইসাথে আমাদের প্রায় সারা দেশেই রান্নার জন্য সরষের তেলের (Mustard Oil) গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই তেল দিয়ে রান্না করলে একদিকে যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ে, তেমনি অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলেও মনে করা হয়ে থাকে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই সরষের তেলই একেবারে নিষিদ্ধ আমেরিকার (America) মত দেশে।
কিন্তু কারণটা কি? তাহলে কি সে দেশের বিজ্ঞানীরা এই তেলের মধ্যে কোন খুঁত খুঁজে পেয়েছেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর দাবি, সর্ষের তেল নাকি শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। কারণ সর্ষের তেলে নাকি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বেশি থাকে।
তাছাড়া এটি একটি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মানুষের জন্য নাকি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই দাবি করছে মার্কিন খাদ্য দফতর। তাদের মতে, এই অ্যাসিড বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে বিপাকক্রিয়ার উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই রান্নায় যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সর্ষের তেল ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেই খাবার হজম করতেও দেরি হবে।
আরও পড়ুন: ভালো নেই সন্ধ্যা রায়! বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কি বললেন চিকিৎসকরা?
তাছাড়া অতিরিক্ত তেলের খাবার খেলে পেটের সমস্যাও হয়। মার্কিন খাদ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই যৌগ নাকি বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হয়, স্মৃতিশক্তি কমে যায় ধীরে ধীরে। আর এই অ্যাসিড থেকে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় হার্টের। তাছাড়া হৃদ্পেশিতে চর্বি জমা হয়ে বাড়তে থাকে হৃদ্রোগের সম্ভাবনাও।
তাই মার্কিন মুলুকের রান্নাবান্নায় সেখানকার মানুষজন সর্ষের তেলের পরিবর্তে সয়াবিন তেল ও অলিভ অয়েলই বেশি ব্যবহার করেন। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ভোজ্য তেল এই হিসাবে সরষের তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া কানাডা এবং ইউরোপের মতো একাধিক দেশেও সর্ষের তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ। অন্যদিকে আমেরিকার মতো পুরোপুরি না হলেও অস্ট্রেলিয়া, কিংবা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহারের নির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে।