Reason behind Shalimar-Weekly Secunderabad express Train Accident ant
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার সাত সকালে বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। একেবারে ভোরবেলায় আচমকাই ঘটে যায় ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। দক্ষিণ পূর্ব রেলের নলপুর স্টেশনের কাছেই আচমকা লাইনচ্যুত হয়ে হয়ে গিয়েছিল ডাউন সাপ্তাহিক সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। ভুল ভুলবশত ট্রেনটি অন্য লাইনের ওপরে উঠে আসে।
নলপুরের ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) আসল কারণ?
যার ফলে ট্রেনের তিনটি বগি একেবারে ছিটকে যায়। ট্রেনের পার্সেল বগি ও দুটি যাত্রীবাহী ভ্যান একেবারে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে ট্রেনের গতি কম থাকার কারণে এদিন ভয়ংকর বিপদ এড়ানো গিয়েছিল। রেল সূত্রের খবর প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যাচ্ছে নলপুরের এই রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) আসল সমস্যা নাকি ছিল পয়েন্ট সেটিং-এ।২৬ বি পয়েন্টেই নাকি আসল সমস্যা ছিল। জানা গিয়েছে সিগন্যাল চেক হওয়ার পর সকাল ৪:৫৫ মিনিটে রিলে রুমের চাবি নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এদিনের এই দুর্ঘটনার পিছনে আসলে ঠিক কি কারণ ছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন। যার উত্তর এখনও অজানা। প্রথমত রেলের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা কি কেউ বদলাতে পারেন? পারলে তা কীভাবে? এছাড়া প্রশ্ন উঠছে দুর্ঘটনার আগে নলপুর স্টেশনের রিলে রুমে লজিকের কি কোন বদল করা হয়েছিল?
আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুর নিয়ে পুজো মন্ডপে ঢুকতে বাধা! ‘অবসাদে’ গলায় দড়ি তরুণীর
যদিও একাংশের দাবি ইতিমধ্যেই শালিমার এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তদন্তকারীদের আতস কাঁচের তলায় এই নলপুর স্টেশনের রিলে রুম। বিশেষজ্ঞদের দাবি সিগন্যাল ও পয়েন্ট সেটের ক্ষেত্রে রিলে রুমের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। কারণ, এখান থেকেই সিগন্যাল এবং পয়েন্টের সমন্বয় ছিন্ন করা সম্ভব।
জানা যাচ্ছে যে জায়গায় রেল দূর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে পয়েন্ট সেটিংয়ে বিভ্রাট হয়েছে। আর এই বিভ্রাট অবাক করেছে রেল আধিকারিকদের। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে ইঞ্জিন আর তার পরের বগির পরেই পয়েন্ট রিভার্স হয়ে গেল। এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন পাঁচ সদস্যের তদন্তকারীরা।