বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন! এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হতে চলেছে ‘ভুতুড়ে ভোটার’। কিছুদিন আগে এই ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় জেলায় কোর কমিটির গঠন করা হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থগিতাদের জারি করা হলো ওই কোর কমিটিতে। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আপত্তিতেই কি জেলায় জেলায় এই কোর কমিটিতে নজিরবিহীনভাবে স্থগিতাদেশ জারি করা হল?
তৃণমূলের (Trinamool Congress) কোর কমিটি ঘিরে বিরাট জল্পনা
২৭ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সম্মেলন থেকেই ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরব হওয়ার পর ভোটার তালিকায় কোর কমিটি গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেত্রীর দেওয়া ‘হোম টাস্ক’ অনুসারে ওই বৈঠকের পরেই জেলায় জেলায় ভুতুড়ে ভোটার ধরতে কোর কমিটি গঠন করা হয়।
রাতারাতি আবার জেলাগুলির কোর কমিটিতে জারি করা হয় স্থগিতাদেশ। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হঠাৎ এমন কি হল? কোর কমিটির গঠন করার পরেও কেন জেলাগুলিতে স্থগিতাদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আবার অভিষেকের হাতেই ফিরছে দলের (Trinamool Congress) সংগঠনের রাশ? দলের মধ্যে কি তাহলে আবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে আইপ্যাক?
আরও পড়ুন: ৫ বছর আগে প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি! এবার বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকে আইপ্যাক নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কিন্তু গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যায় একেবারে উল্টো ছবি। নেতাজি ইন্ডোরে আইপ্যাকের প্রশংসা শোনা যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। একই সাথে তিনি সবার উদ্দেশ্যে বার্তা দেন আইপ্যাক সম্পর্কে যেন কোন উল্টোপাল্টা মন্তব্য না করা হয়। মমতার সেই নির্দেশের পর প্রশ্ন ওঠে আইপ্যাকের ছায়া কি তাহলে আবার চওড়া হচ্ছে শাসক দলে?
তৃণমূলের কোর কমিটি নিয়ে এই জল্পনার মাঝেই আগামী ১৫ মার্চ দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন দলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে ওই বৈঠক থেকেই কি জেলায়-জেলায় নতুন কোর কমিটি তৈরি হবে? সেই কারণেই কি তাহলে কোর কমিটি গঠন করার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই তা স্থগিত করে দেওয়া হল? অনেকে আবার প্রশ্ন তুলছেন দলনেত্রীর এই সিদ্ধান্তে কি মুখ পুড়ল না দলের প্রবীণ ব্রিগেডের?