বাংলাহান্ট ডেস্ক : বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) দুর্ঘটনার জেরে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা দেশে। ঠিক কিভাবে ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? ট্রেন চালকের ব্যর্থতা নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোন কারণ? হাজারও একটা প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছে সকলেই মনেই। ইতিমধ্যেই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে, প্রায় ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থলে ছিলেন। শেষমেশ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwani Vaishnaw) রেল দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ব্যাখা দিলেন। তিনি বলেন, “রেল দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখেছেন। কারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা গিয়েছে।”
এরপরই রেলমন্ত্রীর সংযোজন, “ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা এবং রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা। সেই লক্ষ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।” পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে আধুনিক এবং নিরাপদ এইচএলবি কোচ ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তবে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা থাকার পরেও এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা প্রশ্ন তুলছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থার উপরেও। ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রেলের তরফে। অন্যদিকে, ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মেনলাইনে যাওয়ার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু, ট্রেনটি লুপ লাইনে প্রবেশ করে এবং সেখানে দাঁড়ানো মালগাড়িতে ধাক্কা দিতেই দুর্ঘটনা ঘটে।