বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন ধরে লাগাতার লোডশেডিং। ভাদ্র মাসের তীব্র তাপদাহের মধ্যেও সারা রাজ্য জুড়ে লোডশেডিং। ঘোরতর বিদ্যুৎ সংকটে (Power Supply Crisis) ধুঁকছে রাজ্য। এক দুদিন বা কিছুক্ষণের জন্য নয়, রোজই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লোডশেডিং। ওদিকে তাপমাত্রার পারদও ক্রমশ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের অধিকাংশ জেলার বাসিন্দাদের।
দীর্ঘসময় ধরে লোডশেডিং এর ফলে বহু এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঘরে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এই সমস্যা আরও বহুগুন বেশি। এককথায় তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ফাইল ডাউনলোড কাণ্ড! ED অফিসারের বিরুদ্ধে মারাত্মক পদক্ষেপ সংস্থার
ওদিকে ঘনঘন এই লোডশেডিংয়ের জন্য নিকটবর্তী বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকে। অনেক জায়গায় আবার ভাঙচুর পর্যন্ত চালাতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ দপ্তরের হাত পা বাঁধা। অসহ্যকর গরমে বারেবারে কেন লোডশেডিং? এবার সামনে এল আসল কারণ।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে লোডশেডিংয়ের মাত্রা এতটাই ছিল যে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম। নির্দিষ্ট ওই দিনে গোটা রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা (WBSEDCL) এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল প্রায় ১১০০ মেগাওয়াট। তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) বিদ্যুৎ ঘাটতির বিষয়টি একেবারেই অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের নতুন ছুটির ঘোষণা! বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, খুশি সাধারণ মানুষ
তার দাবি, দূর্গাপুজো আসন্ন। পূজোর সময় যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য প্রতিবছর পুজোর আগে থেকেই এই বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বিভিন্ন জায়গায় চলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। তাই অনেক সময় শাটডাউন করা হয়ে থাকে। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে এই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেকটাই কম।
ওদিকে দুদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে দাবি করেছিলেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না রাজ্য। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।