বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রুপে এক বছর পূরণ করল ইমরান খান। কিন্তু বিগত ১ বছরে পাকিস্তানের অর্থ ব্যাবস্থা ডুবেই চলেছে। পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদ মাধ্যম ‘ডন” এর অনুযায়ী, বিগত এক বছরে ফিস্কল ডেফিসিট রেকর্ড স্তরে পৌঁছে গেছে। ডন এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকে এখনো পর্যন্ত এটাই সবথেকে বড় ফিস্কল ডেফিসিট। পরিস্কার ভাষায় বোঝাতে গেলে, সরকারের আমদানি কমেছে আর খরচ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) কিছুদিন পরেই পাকিস্তানের বেলআউট অয়াকেজের জন্য প্রথমবার সমীক্ষায় বসতে চলেছে। আর এরফলে পাকিস্তানের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে। IMF পাকিস্তানের অর্থব্যাবস্থাকে লাইনে আনার জন্য অনেক কড়া শর্ত রেখেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন একটি শর্ত নিয়ে ইমরান খান সরকার কোমর বেঁধে নামতে পারেনি। আর IMF এর শর্ত পূরণ না হলে, ইমরান খান সরকার অথবা পাকিস্তানকে এক টাকা দিয়েও সাহায্য করবে না IMF।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রক দ্বারা জারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের ফিস্কল ডেফিসিট দেশের জিডিপির ৮.৯ শতাংশ (৩.৪৫ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা) পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, গত বছর সেটি ৬.৬ শতাংশ ছিল। ইমরান খান সরকারের অপরার্থতার এটি একটি বড় প্রমাণ। সরকার নিজেই জিডিপির বাজেট ৫.৬ শতাংশ রাখার লক্ষ্য রেখেছিল। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রক অনুযায়ী, সরকারের বাজেটের ঘাটতি নির্ধারণ করা লক্ষ্যের থেকে ৮২ শতাংশ বেড়ে গেছে। প্রচুর পরিমাণে বাজেটে ঘাটতির কারণে ২০১৯-২০ এর বাজেট মাত্র দুই মাসের মধ্যে নিজের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
ইমরান খান সরকার বিগত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি খরচ করেছে, কিন্তু রাজস্বে এই বছর ৬ শতাংশ ঘাটতি দেখা গেছে। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রক অনুযায়ী, ঋণ আর প্রতিরক্ষা বাজেটেই ৩.২৩ ট্রিলিয়ন খরচ হয়ে গেছে। যেটা সরকারি রাজস্বের ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে পাক অর্থ মন্ত্রক। পরিস্কার এবং সোজা ভাষায় বলতে গেলে, সরকার যত টাকা কামায়, মানে যত টাকা ট্যাক্স এবং অন্যান্য জিনিষ থেকে উসুল করে। সেটার থেকে বেশি খরচ করে ফেলছে সরকার। কম কামাই আর খরচ বেশির মধ্যে যেই পরিসংখ্যান আসে, তাঁকেই ফিস্কল ডেফিসিট বলে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের থেকে পয়সা নিয়ে ব্র্যান্ড অথবা সিকিউরিটিজ জারি করে সরকার এই ফিস্কল ডেফিসিটের ভরপাই করে।