প্রেম দিবসে কলকাতায় রেকর্ড বুকিং OYO-তে! সব শহরকে ছাপিয়ে ফার্স্ট পজিশনে “বৃন্দাবন”

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরশুম”… আর সেই প্রেমের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ওয়োর অন্দরে। ভ্যালেন্টাইন্স উইকে (Valentine’s Day) ওয়োর বুকিং রেকর্ড দেখলে রীতিমত চোখ কপালে উঠবে আপনার। কলকাতা (Kolkata) সহ দেশের প্রায় সব মেট্রো সিটিতেই প্রেম দিবস উদযাপনের দিনে ওয়ো বুকিংয়ের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। তবে একটা মজার বিষয় হলো, যেখানে কাপল ডেস্টিনেশন হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা গোয়া, সেখানে এবার গোয়াকেও টেক্কা দিয়েছে বৃন্দাবন (Brindaban)।

ওয়োর নিজস্ব রিপোর্ট বলছে, বৃন্দাবনের প্রায় সব হোটেলের বুকিংই ফুল হয়ে গিয়েছিল প্রেম দিবসের দিনে। এমনকি, গোয়া, মানালির চেয়েও বেশি মানুষ বৃন্দাবনের ওয়োতেই বেশি সময় কাটিয়েছেন।ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে বৃন্দাবনে রুম বুকিং বেড়েছে 231 শতাংশ। তবে কি ভালোবাসার দিনগুলিতে গোয়া, সিমলা, মুসৌরি বা উটির মতো জনপ্রিয় ডেস্টিনেশনে যাওয়ার বদলে যুগলেরা পছন্দ করেছেন বৃন্দাবনকে? এই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে নেটিজেনদের মনে।

ওয়োর তরফে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুতে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে 51 শতাংশ বুকিং বেড়েছে। পুনেতেও বুকিং বৃদ্ধির পরিমাণ 45 শতাংশ। এমনকি কম যায় না কলকাতাও। তিলোত্তমাতেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ওয়ো রুমের বুকিং বেড়েছে 38 শতাংশ। চেন্নাইতে ও মুম্বইতে 38 শতাংশ ও 35 শতাংশ করে ওয়ো রুম বুকিং বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবার ভ্যালেন্টাইনস ডে মঙ্গলবার হওয়ায় রুম বুকিং নিয়ে হোটেল মালিকরা আশঙ্কায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত ওয়ো ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে 35 শতাংশ রুম বুকিং বৃদ্ধির সাক্ষী দেখেছে।

oyo rooms header 001 1 2 2

অন্যদিকে, যদি ভ্যালেন্টাইনস উইকে ওয়ো’র ডেস্টিনেশনের ধরন দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সমুদ্র সৈকতের তুলনায় বেশি রুম বুকিং হয়েছে হিল স্টেশনগুলিতে। তবে, প্রেম দিবসের দিনে বৃন্দাবনে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রুম বুকিং দেখে ওয়োর তরফে জানানো হয়েছে, ‘বৃন্দাবনে এই ব্যাপক চাহিদা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভারতীয়রা পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে-কে বেছে নিচ্ছেন। ভ্যালেন্টাইনস ডে মঙ্গলবার হওয়ায় অনেকেই উইকেন্ড থেকেই টানা ভ্যালেন্টাইনস ডে পর্যন্ত বুকিং করেছেন।’

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর