বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের (bangladesh) তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান (murad hasan)। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের প্রথম সারির নায়িকা মাহিয়া মাহিকে (Mahiya Mahi) ফোনে অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে পড়শি দেশের রাজনৈতিক মহলে।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করতে হল ডা. মুরাদ হাসানকে। এমনকি ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে তাঁর করা পদত্যাগপত্র গ্রহণও করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
https://www.facebook.com/watch/?v=320830696321316&t=0
বিষয়টা হল, অভিযোগ উঠেছে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ফোন মারফত কিছু অশালীন কথা বলেন মুরাদ হাসান। দেখা করার প্রস্তাব নাকচ করায় মাহিয়া মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনার সময় নাকি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন। যা নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ সরকার।
এই ঘটনার বিষয়ে মাহিয়া মাহি ফেসবুকে লাইভে এসে সবিস্তারে জানান। তিনি জানান, দুবছর আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি প্রায় দুবছর আগের। তখন তিনি মক্কায় উপস্থিত ছিলেন এবং ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করারও আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সময়ের মত আজও এই বিষয়ে নিয়ে তিনি বিব্রতবোধ করছেন।
এই ঘটনার পরবর্তীতে একপ্রকার চাপে পড়েই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। জানা গিয়েছে, ইস্তফা দিয়েই দেশ ছাড়েন তিনি।