বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের অবহে মদ কাণ্ড (Liquor Scam) নিয়ে সরগরম রাজ্য (West Bengal)। কিছুদিন আগেই ময়নাগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাংমারি গ্রামের নিরঞ্জন রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার জাল বিলিতি মদ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress)। পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই নামে তাদের দলের কোনো কর্মী নেই। সবমিলিয়ে জাল মদ উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রসঙ্গত, আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই চ্যাংমারি গ্রামের ওই বাড়িতে নকল বিলিতি মদ তৈরির কারখানা চলছিল। ওই কারখানা থেকে বাংলা মদ তৈরি করা হতো বলেও খবর সামনে এসেছে। গোপন সূত্রে জাল মদ তৈরির খবর আবগাড়ি দফতর অভিযান চালায়, আর তাতেই বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায়ের স্ত্রী ICDS কর্মী। তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টোটাল ৬০০ কার্টুন বিলিতি মদ। উদ্ধার হয়েছে মদ তৈরির স্পিরিট, ভ্যাট, মদ বোতলজাত করার যন্ত্রপাতি সহ একাধিক সামগ্রী। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে মদ কেলেঙ্কারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। বিজেপির জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকারের কথায়, “তৃণমূলের আমলে রাজ্যে মদের রমরমা। স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান খুলে যাচ্ছে। অভিযুক্ত নিরঞ্জন রায় স্থানীয় তৃনমূল নেতা বলেই প্রশাসন সব জেনেও অন্ধ হয়ে বসে ছিল।” পাল্টা গেরুয়া শিবিরের সেই দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রেমালের জেরে আজও প্রবল দুর্যোগ দক্ষিণবঙ্গে, জারি রেড অ্যালার্ট, আবহাওয়ার উন্নতি কবে?
এই বিষয়ে তৃনমূলের ময়নাগুড়ি অঞ্চল সভাপতি তথা ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ বলেন,’ নিরঞ্জন রায় নামে কেউ তৃণমূল করতো বলে জানি না। ওই অঞ্চলে বিজেপি অনেক বেশী শক্তিশালী। বিজেপি নেতাদের যোগসাজশেই এই বেআইনি মদের কারখানা রমরমিয়ে চলছিল।’ ওদিকে অভিযুক্ত সহ তার বাড়ির সকলেই এখনও পলাতক।