নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি! এর মাঝেই কুন্তলের জীবনে ঘোর দুঃসংবাদ!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। দীর্ঘদিন ধরে জেল খাটছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) এবং নীলাদ্রি ঘোষ। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) কুন্তল এবং নীলাদ্রির জামিনের আবেদন জানান তাঁদের আইনজীবীরা।

গতকাল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে নীলাদ্রির (Niladri Ghosh) জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তবে কুন্তলের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলত এখনও জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।

   

নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেল খাটছেন কুন্তল এবং নীলাদ্রি। এর আগে সিবিআইয়ের কাছে কুন্তলের মামলার ‘স্টেটাস’ জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। কুন্তলকে কতদিন জেলে থাকতে হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল সেবার। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সেই সময় কুন্তলের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করেন, এখনও এই মামলার তদন্ত চলছে। এই দুর্নীতি মামলায় সেতুর মতোর কাজ করেছিলেন কুন্তল, নীলাদ্রিরা। এর মাঝেই যদি তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান, তাহলে মামলায় সম্বন্ধিত প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ‘কেউ যদি ভোটের সময়…’, শ্লীলতাহানির অভিযোগের পর মুখ খুললেন রাজ্যপাল

নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল-নীলাদ্রির ভূমিকা বোঝাতে সিবিআই জানায়, চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে প্রায় ৪ কোটি তুলেছেন কুন্তল। প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের কসবা অফিসে ভুয়ো ইন্টারভিউও নেওয়া হয় বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। এই ইন্টারভিউ কারা নিয়েছিলেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে নীলাদ্রির প্রসঙ্গে সিবিআই জানায়, তিনিও এই নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন। কুন্তল-নীলাদ্রির সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডল।

Kuntal Ghosh Calcutta High Court

সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, টেটে অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করার জন্য অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেন কুন্তলেরা। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি যাতে চোখে না পড়ে, সেই কারণে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে মেল পাঠানো হতো এবং তাঁদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হতো। এছাড়া কোনও নিয়মের পরোয়া না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর