বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চালাচ্ছে ইডি, সিবিআই। সেই কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতে নেমেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির হদিস মিলেছে। বহু টানাপোড়েনের পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার গিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI) এর ওপর। আর সেই মামলার কিনারা করতেই এবার মরিয়া তদন্তকারীরা।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথমবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধৃত প্রোমোটার তথা প্রযোজক অয়ন শীলকে (Ayan Shil) জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এদিন গোয়েন্দাদের প্রায় সমস্ত প্রশ্নই এড়িয়ে গিয়েছেন অয়ন। তথ্যের খোঁজে এরপর তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে অয়ন শীলকে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে একাধিক প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার তার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভার কর্মী নিয়োগ করে অয়ন শীলের সংস্থা। অয়নের ফ্ল্যাটে হানা পুর নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি মিলেছে।
অভিযোগ একেকটি পদের নিয়োগের জন্য চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত কমিশন নিতেন অয়ন।
অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও তার লম্বা হাত। এসএসসি, এসএসসি, টেট-সহ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা রেট চার্ট বানিয়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা কমিশন হিসাবে তুলেছেন এই অয়ন। অভিযোগ এমনটাই।
প্রসঙ্গত, প্রথমে এই পুরনিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা যায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে। তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পর এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে যায়। বর্তমানে তিনিই এই মামলা দেখছেন। সম্প্রতি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি সিনহা। এরপরই আজ জেলে গিয়ে অয়নকে জেরা করল সিবিআই।