নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ছিলেন জেলবন্দি, জামিন পেয়েই বোমা ফাটালেন জীবনকৃষ্ণ! তোলপাড় রাজ্য!

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, অনেকের সঙ্গেই এই মামলার যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনই একজন হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সদ্য জামিনে ছাড়া পেয়েই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি!

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ। TMC বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রচুর নাটকের সম্মুখীন হতে হয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। তদন্ত চলাকালীন নিজের মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে সময় লেগে যায় প্রায় ২ দিন। মেশিন দিয়ে জল বের করে সেই ফোন উদ্ধার করা হয়। এবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সেই জীবনই দিলেন বিরাট বাণী!

সম্প্রতি TMC বিধায়কের একটি পোস্ট নেটপাড়ায় তুমুল সাড়া ফেলেছে। সেই পোস্টে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়েছেন, ‘পদ মানে ক্ষমতা নয়, পদ মানে দায়িত্ব, পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা। এটা গেলে আসে অহংকার, তারপর পতন’। যদিও ভাইরাল এই চ্যাটের স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতি অতীত! রাজ্যে ৪ হাজার কোটির কেলেঙ্কারি! মন্ত্রী হয়েই সব ‘ফাঁস’ করলেন সুকান্ত

উল্লেখ্য, গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এক বছর জেলবন্দি ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার মতো অভিযোগ উঠেছিল। একইসঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয়, TMC বিধায়কের ফোনের চ্যাট ঘাঁটাঘাঁটি করার পর একজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে।

সেই জীবনকৃষ্ণ এর আগে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে তাঁর সেই আবেদন গৃহীত হয়নি। এরপর সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সেই আবেদন গৃহীত হয়। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, নিজ বিধানসভা ক্ষেত্র বড়ঞাতে যেতেও বাধা নেই জীবনের।

Jiban Krishna Saha viral chat

সদ্য জামিন পাওয়া সেই জীবনকৃষ্ণের পোস্টই এবার সাড়া ফেলে দিয়েছে। কারোর প্রশ্ন, তাহলে কি চৈতন্য উদয় হয়েছে? কারণ TMC বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর দলের বহু কর্মী সমর্থক যেমন মুষড়ে পড়েছিলেন, তেমনই অনেকে বলেছিলেন, এর ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হল। এমন ঘটনা কাম্য ছিল না। যদিও জীবনের গলায় বারবার একই সুর শোনা গিয়েছে, তিনি নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তিনি। এবার তাঁরই এক ‘বার্তা’ সাড়া ফেলে দিল নেটপাড়ায়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর