বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি অসুস্থ। বর্তমানে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এবার সেখান থেকেই সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এখন কেমন আছেন পার্থ (Partha Chatterjee)?
রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট অনুপ খৈতান তাঁকে এই মুহূর্তে দেখছেন। পার্থর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও, তিনি বিপদ মুক্ত নন বলে খবর। প্রাক্তন মন্ত্রীর মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। মুকুন্দপুরের সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। সেই সঙ্গেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি আছে। প্রাক্তন মন্ত্রীর সিটি স্ক্যান করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এছাড়াও খবর, তিনি এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন। ফলে তাঁর ডায়ালিসিস করতে হবে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ড্রেনের জল শোধন করে ফের ব্যবহার! বিরাট উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার
তিন সদস্যের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক সৌরেন পাঁজা আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখবেন বলে খবর। এই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে আইটিইউ বেড নম্বর ৬-এ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত সপ্তাহে এসএসকেএস হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে সম্প্রতি তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আদালতের নির্দেশ মতো গত মঙ্গলবার রাতেই মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পার্থকে (Partha Chatterjee) স্থানান্তরিত করা হয়। এই মুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এই প্রাক্তন মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে রয়েছেন কার্ডিওলজিস্ট অনুপ খৈতান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অনুপ পাঁজা এবং নেফ্রোলজিস্ট প্রতীক দাস।