‘আদরের’ জামাইয়ের চাকরিতে টানাটানি পড়তেই আরও ১৭ জনকে চাকরি! সৎ রঞ্জনের পর নজরে জয়ন্ত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ্যই বাড়ছে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িত অভিযুক্তদের নামের তালিকা। সম্প্রতি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার সত্‍ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল (Ranjan Mondal)। তার সূত্র ধরেই এবার ইডির (ED) নজরে তার জামাই পেশায় ‘শিক্ষক’ জয়ন্ত দাস। তার নিয়োগ নিয়েও এবার সামনে হাজারো প্রশ্ন।

জামাই জয়ন্তর দাবি, সংরক্ষিত কোটায় চাকরির জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সরকার তাকে জেনারেল কোটায় চাকরি দেয়। তার কথায়, সরকার ভুল করলে তার কিছু করার নেই। জয়ন্ত আরও জানান, সত্‍ ভাবেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। তার চাকরি পাওয়ার সঙ্গে শ্বশুর চন্দন মণ্ডলেরও কোনও যোগ নেই, আর নাই আছে কোনো দুর্নীতির ছাপ।

এদিন জয়ন্ত বলেন, “আমি যখন আবেদন করি, তখন আমার এসসি সার্টিফিকেট ছিল না। ২০১১ সালে সার্টিফিকেট হাতে পাই, তখন আমি জমা করি। কিন্তু ওরা আমার নাম জেনারেলে পুট করে ফেলেছেন।” প্রসঙ্গত, জয়ন্ত প্রথমে চাকরি পান হাওড়া জেলায়। পরে স্ত্রীর সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বদলি হন।

বর্তমানে সেই জেলায় বারাসত প্যারীচরণ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে গত ২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। অন্যদিকে, জয়ন্তর সংরক্ষিত কোটার চাকরি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ১৭ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই ১৭ জনকেও নাকি প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ধৃত সৎ রঞ্জন। এমন বিস্ফোরক অভিযোগই সামনে এসেছে।

ranjan mondal

অর্থাৎ, সেই সময় জামাইয়ের চাকরি বাঁচাতে অনিয়ম করে আরও ১৭ জনের চাকরি ব্যবস্থা করেন চন্দন মণ্ডল। ক্রমশ্যই গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির জল। এবার পরবর্তীতে আর কী কী অবাক করা তথ্য সকলের সামনে উঠে আসে সেটাই দেখার বিষয়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর