বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অস্বস্তিতে ইডি- সিবিআই (ED-CBI)! পুরনিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় মৃত্যু হল অন্যতম মূল অভিযুক্ত অয়ন শীলের (Ayan Shil) ঘনিষ্ঠ প্রমোটার শমীর চৌধুরী ওরফে বাপ্পার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তিঁনি অন্যতম প্রধান সাক্ষী ছিলেন এই মামলার। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের ব্যবসার অংশীদারও ছিলেন এই শমীর চৌধুরী। এদিন তিঁনি প্রয়াত হয়েছেন।
সূত্রের খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রমোটার ‘মিডিলম্যান’ শমীর চৌধুরী। সল্টলেকে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই-এর চার্জশিটেও নাম ছিল শমীকের। CBI দাবি ছিল, অয়ন শীলের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। অয়নের ব্যবসার ক্ষেত্রে তার ‘পার্টনার’ ছিলেন শমীক।
সূত্রের খবর, ‘এবিএস ইনফ্রাজোন’ নামে অয়ন শীলের যে সংস্থা ছিল তার ডিরেক্টর পদে ছিলে শমীক চৌধুরী। চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের থেকে টাকা তোলার কাজে শমীক যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সিবিআই দাবি করে, শমীক যেমন অয়নের বন্ধু ছিলেন তেমনি ‘দুর্নীতির’ এজেন্ট ছিলেন শমীক। বিভিন্ন সময় বেআইনিভাবে ১০-১২ জনকে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিয়েছেন শমীক।
আরও পড়ুন: গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগ! শুভেন্দু মানহানির নোটিশ পাঠাতেই পাল্টা ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের ঋজু
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এককালে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল এবং শান্তনুর সূত্র ধরে অয়নের নাম উঠে আসে। গত বছর মার্চ মাসে এই প্রোমোটারের সল্টলেকের অফিস এবং হুগলিতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি ED। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর ওএমআর শিট এবং ২৮ পাতার একটি নথি। এরপরই গ্রেফতার হন অয়ন। অয়নের গ্রেফতারের পর থেকেই কার্যত ‘উধাও’ হয়ে যান শমীক চৌধুরী। এরপর পুর নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটেও তাঁর নাম উঠে আসে।