বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার রাজ্যে। দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে। শুধু শিক্ষক নয়, গোটা রাজ্য জুড়ে নিয়োগের পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতি। শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে ধৃত হুগলীর কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে সামনে এসেছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর বর্তমানে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসল কেউটে। শান্তনুর বন্ধু অয়ন শীলের (Ayan Shil) অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি উদ্ধার করেছে ডিরেক্টরেট।
ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ মাসে মোট ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল প্রোমোটার অয়ন শীলের অ্যাকাউন্টে। সংখ্যাটা ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার মতো হলেও ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে।
শুধু শান্তনুর অ্যাকাউন্ট থেকেই নয়, ইডির দাবি বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে অয়নের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২৫ কোটি ঢুকেছে টাকা। আদালতে ইডি জানিয়েছে, অয়নের অ্যাকাউন্টে সবমিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই দাবি, নিজের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন, অধস্তন কর্মী এমনকি পরিচারকদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আই বিপুল পরিমান টাকা অন্যত্র সরিয়েছেন অয়ন।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রে খবর, প্রথম জীবনে কম্পিউটার দোকান থেকে শুরু হলেও শান্তনুর স্পর্শে তার জীবন পাল্টে যায়। ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে চালচলনে। দুর্নীতির টাকায় বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জমি, সম্পত্তি কিনেছেন অয়ন। এরপরে টলিউদের এক নায়িকার সঙ্গেও যোগাযোগ হয় তার। ইডির দাবি, যৌথ মালিকানাতেও একাধিক সম্পত্তি রয়েছে অয়নের।
অন্যদিকে, অয়নের সল্টলেকের ফ্ল্যাটে বহু নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ছাড়াও দুর্নীতির এজেন্টদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে দাবি ইডির। ইতিমধ্যেই ইডির হাতে উঠে আসছে একের পর একের পর এজেন্টের নাম। ইতিমধ্যেই কানু দা, লাল, তপন, এমডি, নামে ৪ এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। কারা এরা, কী তাদের পরিচয় এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।