বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাইমারি হোক কিংবা এসএসসি, চাকরি দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতির জেরে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ শিক্ষকের। পরে সুপ্রিম কোর্টে গেলে উচ্চ আদালতের রায়ে স্থগিতদেশ পড়ে। তবে তা সাময়িক। আপাতত সুতোর উপর ঝুলছে সেই শিক্ষকদের ভাগ্য। এরই মধ্যে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য!
সম্প্রতি বিকাশ ভবন থেকে প্রাথমিকে নিয়োগের (Primary Tet) পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কার্যালয় বিকাশ ভবনে টানা তিন দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালান গোয়েন্দারা। এরপর শুক্রবার দুপুরে সেখান থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র উদ্ধার করে নিয়ে যায় CBI.
সূত্র মারফত জানা যায়, বিকাশ ভবন থেকে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য উদ্ধার করেছে সিবিআই। এছাড়াও মিলেছে পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা। এমনিতেই প্রাথমিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা চলছে আদালতে। এরই মাঝে এই নথি-পত্র উদ্ধার হওয়ায় SSC-র পর এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়েও টানাপোড়েন হতে পারে মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, এই ঘটনায় তাদের ভবিষ্যত নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীদের একাংশ। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে টেট হয়। তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা হয়।
আরও পড়ুন: নেতা, আধিকারিকরা অতীত! নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত প্রধান শিক্ষকেরাও, ৫০ জনের তালিকা দিল CBI
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হয় রাজ্যে। চলতি বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা টেট মামলার পর্যবেক্ষণে জানান, টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে।