বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Scam Case)। এবার যেমন এই মামলায় চাঞ্চল্যকর এক তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে রয়েছে খাস কলকাতার গড়িয়াহাট অঞ্চলের একটি ক্যাফেটেরিয়া।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) নয়া মোড়!
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির গড়িয়াহাটের (Gariahat) অফিস থেকে খানিকটা দূরে অবস্থিত এই ক্যাফেটেরিয়া (Cafeteria)। সেখানেই নাকি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক আধিকারিকদের সঙ্গে সংস্থার কর্তাদের নিয়মিত বৈঠক হতো। CBI-র দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যও (Manik Bhattacharya) নাকি বেশ কয়েকবার ওই ক্যাফেটেরিয়ায় বৈঠক করেছেন।
ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার আধিকারিক এবং কর্তাদের সঙ্গে মানিকের ওই বৈঠকগুলি হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই নাকি তদন্তকারী সংস্থার হাতে এমন প্রমাণ এসেছে। উক্ত সংস্থার ডিরেক্টর কয়েক বছর আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও, দু’জন আধিকারিক পার্থ সেন এবং কৌশিক মাঝি হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপাল পদকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ! চরম বিপাকে ২ পুলিশকর্তা! কী অ্যাকশন নেওয়া হল?
CBI-র দাবি, ঘুরপথে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি সংক্রান্ত নানান আলোচনা হতো গড়িয়াহাটের ওই ক্যাফেটেরিয়ায়। দুর্নীতি বিষয়টি যাতে চট করে কারোর নজরে না আসে সেই জন্যই নাকি ওই ‘লোকেশন’ বেছে নেওয়া হয়েছিল। ওখানে মিডলম্যান অযোগ্য প্রার্থীরাও আসতেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নাকি জানা গিয়েছে।
তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, অযোগ্য প্রার্থীদের দু’তরফে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একটি মিডলম্যানের দ্বারা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সাহায্যে। দ্বিতীয়টি ঘুরপথে TET অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের সঙ্গে এস এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যোগাযোগ করিয়ে।
CBI সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই নাকি গড়িয়াহাট অঞ্চলের ওই ক্যাফেটেরিয়া চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের পর থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ওখানে বৈঠক হতো বলে জানা গিয়েছে। সেই খবর যাচাই করা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ক্যাফেটেরিয়ার কর্ণধার ও কর্মীদের জেরা করা হবে। সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে অনুমান। আরও অনেক মিডলম্যানের খোঁজ পাওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।