বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে চর্চার শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বহুদিন জেলের কুঠুরিতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) কিছুদিন আগেই তিনি অভিযোগ করেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য তাকে ‘চাপ’ দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই।
গত সপ্তাহে এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই (ED-CBI)। এবার সেই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল যাতে কুন্তলের পরিবারের বয়ানের উল্লেখও রয়েছে। কুন্তলের করা মারাত্মক অভিযোগ সহ এই গোটা বিষয় নিয়ে কী জানাল কুন্তলের পরিবার?
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল কুন্তল আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি পাঠিয়ে কুন্তল জানান, অভিষেকের নাম বলার জন্য তার উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই মামলার তদন্তে নেমে কুন্তলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। এরপরই তদন্তকারীদের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তথাকথিত নির্যাতনের বিষয়ে এত অভিযোগ থাকলেও এই নিয়ে নিজের পরিবারের কাউকেই কিছু জানাননি ধৃত কুন্তল ঘোষ।
পাশাপাশি গোয়েন্দারা কুন্তলের সহ বন্দিদেরও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তবে সেখানেও তাদেরও কাউকে এই বিষয়ে কুন্তল কিছুই জানান নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআই-এর রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে সভায় অভিষেক অভিযোগ তোলেন, যে সারদা মামলায় এক সময়ে জেল হেফাজতে থাকা মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে চাপ তার নাম নিতে চাপ দিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। ঘটনাচক্রে এর পরেই গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল কুন্তল আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি পাঠিয়ে কুন্তল জানান, অভিষেকের নাম বলার জন্য তার উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন কুন্তল। এর পর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগও দায়ের করেন কুন্তল। কুন্তলের অভিযোগের তদন্ত করতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী এই মামলায় অভিষেককে জেরা করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এর পর ঘটনাক্রমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলাটি যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অপরিবর্তিত রাখেন বিচারপতি সিনহা। এরপর এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। গত ১৪ জুলাই বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র মেলেনি।