রাতভর তল্লাশি, একদিন পরও হাতে এলনা পুকুরে ফেলা দুই ফোন! বিধায়কের কৌশলে নাজেহাল CBI

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের মাঝ সময় থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কেলেঙ্কারি ইস্যুতে জেলবন্দি তৃণমূলের বহু নেতা-মন্ত্রী। এরই মধ্যে গতকাল ফের আরেক তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই (CBI) এর তিন গোয়েন্দা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। শুক্রবার রাতভর চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের দুটি মোবাইলই ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি লাগোয়া পুকুরের জলে। অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে গিয়ে দুটো মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তথ্য লোপাট করতেই এই কৌশল? কী এমন গোপন তথ্য ছিল বিধায়কের ফোনে যেই কারণে একেবারে পুকুরে ফেলতে হল ফোন? উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর সিবিআই আধিকারিকরা বিধায়কের বাসভবনে প্রথম দফায় তল্লাশি শুরু করে। এর পর বেলা ২টো নাগাদ বিধায়কের রঘুনাথগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতেও চলে জোর তল্লাশি। তল্লাশিতেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দাদের ওই সূত্র। অন্যদিকে, রাত পেরিয়ে সকালেও বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকালে নতুন পাম্পও নিয়ে আসা হয়েছে। চলছে দুটি মোবাইলের খোঁজ।

tmc mla cbi

সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্থানীয় এক এজেন্টে কৌশিকের নাম সামনে আসে। এরপরেই শুরু হয় খোঁজখবর। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই এজেন্টের সূত্র ধরেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়ঞার কোগ্রামের বাসিন্দা এই কৌশিক। তিনি বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই সকলে জানে। বিধায়কের বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে গতকাল বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘কৌশিক ঘোষ আমার ঘনিষ্ঠ নন। অনেকেই বিধায়কের কাছে আসেন। ছবি তোলেন। কৌশিক ঘোষও সেই ভাবেই ছবি তুলেছেন।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর