বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঘোর বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR শিট নষ্ট মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তদন্তকারীদের পেশ করা রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
এদিন এজলাসে বসে বিচারপতি বলেন, “জেনে বুঝে দুর্নীতি করে গেছেন মানিক ভট্টাচার্য।” জাস্টিস গাঙ্গুলি বলেন, “এবার বুঝতে পারছি বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন পর্ষদ বার বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। বিচারপতির আশঙ্কা, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির পাশাপাশি বর্তমান পর্ষদ সভাপতিও দুর্নীতি আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে ভিজবে রাজ্য! কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা? আবহাওয়ার আগাম আপডেট
আদালতের পর্যবেক্ষণ, উত্তরপত্র (OMR) নষ্ট করার আগে তার ডিজিটাইজেশনের ওপর কোনও নজরদারি করেনি বোর্ড। স্ক্যানড কপি রাখা হয়নি। ডিজিটাইড কপি রাখা হয়েছে যা যে কোনও সময় বদলানো সম্ভব। ওএমআর শিট নষ্ট করার মামলায় এদিন আদালতে জোর সওয়াল করেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
আরও পড়ুন: পঞ্চমীতেই বিরাট ‘স্বস্তি’ শুভেন্দুর! বড়সড় কাটলো বিপদ, কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?
তিনি বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক প্রাথমিকে দুর্নীতি চলেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণেই এটা স্পষ্ট হয়েছে। ওএমআর শিট নষ্টের নামে সেগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওএমআর শিট নষ্টের সময় সেখানে পর্ষদের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। OMR শিটের স্ক্যানড কপি থাকলে এই দুর্নীতি হত না। টাকার বদলে এক্সেল শিটে নম্বর নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।”