বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে, ঘুষ নেওয়া দোষ হলে ঘুষ দেওয়াও দোষ! এবার এই কথা মাথায় রেখেই কোমর বেঁধে ময়দানে সিবিআই। ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বহু নেতা, বিধায়ক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে বহুজনা।
এই আবহেই সোমবার অর্থের বিনিময়ে চাকরি নেওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সেই থেকে শুরু। ওই ৪ শিক্ষকের পর গতকাল বাঁকুড়া (Bankura) জেলা থেকে ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Teachers) তলব করে সিবিআই (CBI)। আর এবার নজরে কোচবিহার (Coochbehar)।
কোচবিহার জেলার ৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষককে কলকাতা তলব করেছে গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, ১০ ও ১১ আগস্ট নথি-সহ তাদের কলকাতার সিবিআই দপ্তরের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সমস্ত শিক্ষকই ২০১৬ সালের পর নিয়োগ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রথম দিনই BJP-র বাজিমাত! নদিয়ার ৩ পঞ্চায়েতে যা কাণ্ড হল…
অন্যদিকে, গতকাল বাঁকুড়া জেলার ৭ শিক্ষকের তলব পড়তেই তোলপাড়। এরই মধ্যে এই নিয়ে বিরাট মন্তব্যও করে বসেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বাঁকুড়া জেলা থেকে যেই ৭ শিক্ষককে CBI তলব করেছে, তাদের মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেয়েছে এরকম কয়েকজনও রয়েছে। ”
আরও পড়ুন: Breaking: মহা বিপাকে সেলিম! ‘পতিতা’ শব্দের জেরে CPM নেতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন যৌনকর্মীরা, ধুন্ধুমার
হাই কোর্টের নির্দেশ চাকরি পাওয়া বাঁকুড়ার শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করায় কোর্টের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েও এখন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এর মানে এটা নয় যে এই শিক্ষকরা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কারণ বিচারপতি নির্দেশ দিলেও আদালত তাদের সমস্ত নথি ও তথ্য যাচাই করেছে। তবেই নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা।
আবার গতকাল টানা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই সাত জনের মধ্যে এক শিক্ষক বলেন, ‘‘আমরা পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের মামলায় হাই কোর্টের রায়ে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু পর্ষদের ওয়েবসাইটে সেই তথ্য আপডেট করা নেই। এই কারণেই সিবিআই ডেকেছিল। নথি দেখে আপাতত ছেড়ে দিয়েছেন।’’