বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সাল থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) রমরমা। আর এই শিক্ষক কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে সামনে আসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam)। এক কথায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। পুর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রোমোটার অয়ন শীলকে (Ayan Shil) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখনও জেলবন্দি তিনি। এরই মাঝে এবার অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ দালাল দেবেশ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নয়া মোড়?
ইতিমধ্যেই পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা করেছেন সিবিআই। গত মঙ্গলবার পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। CBI- র পেশ করা চার্জশিটে নাম রয়েছে দেবেশ চক্রবর্তীর। তারপরই তাকে তলব করা হল।
আজ সোমবারই দেবেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মিডলম্যানের কাজ করতেন এই দেবেশ। এবার তাকে জেরা করে মিডলম্যান হিসাবে আর কে কে এই কাজে নিযুক্ত ছিল। কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার কাছে পৌঁছে দেওয়া হত এইসব বিষয় জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর দেবেশকে জেরা করে তার রেকর্ড করা হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই অয়ন শীলের মাধ্যমে অনিয়ম করে বহু পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজরে স্ক্যানারে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী। হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের নামও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই তালিকা বানিয়ে ফেলেছে সিবিআই। এবার এক এক করে সবাই ডাক পড়বে।
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ! এবার আরও বিপাকে মহুয়া মৈত্র, শুরু ‘অ্যাকশন’
উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে টানা ৩৭ ঘণ্টা অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই ইডির হাতে গ্রেফতার হন অয়ন। তার অফিস বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একের পর গুচ্ছ গুচ্ছ ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। মেলে ২৮ পাতার একটি নথি।
গত সপ্তাহেই পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে চার্জশিট জমা করে মারাত্মক দাবি সিবিআই এর। কোভিভকালে অতিমারির সময় এক নোটিসেই রাতারাতি ২৯ জনের নিয়োগ হয় দক্ষিণ দমদম পৌরসভায়। এই নিয়োগ সঠিকভাবে হয়নি বলেই আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
CBI- র পেশ করা চার্জশিটে নাম রয়েছে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায় ও পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ‘মিডলম্যান’ অয়ন শীলের। তদন্তকারী সংস্থার দাবি একদিনে ২৯ খানা চাকরি কোনোভাবেই নিয়ম মেনে হয়নি। সব নিয়োগ অবৈধ।