বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে গ্রুপ ডি ও নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Teacher Recruitment Scam) শুনানি ছিল। এদিনই সিবিআই এজলাসে জানায়, বহুমাস তদন্ত করার পর এখনও পর্যন্ত তারা এমন অনেক অভিযুক্তের নাম পেয়েছে, যাদের নাম চার্জশিটে থাকলেও তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে এদের অপরাধের মাত্রা তুলনায় কম, এমন কোনও কোনও অভিযুক্তকে রাজসাক্ষী করার প্রস্তুতি চলছে বলেও আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী ও সঞ্জয় দাশগুপ্ত।
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই যে-চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে বেশ কিছু লোককে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাদের সকলকে গ্রেফতার না-করে নির্দিষ্ট কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।’’
আইনজীবীদের অভিযোগ শুনে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করলে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে একটি সংগঠিত অপরাধ চক্রের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও তাদের অপরাধের মাত্রা তুলনামূলক কম অথবা কোনও পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে অপরাধে যুক্ত হয়েছেন। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের রাজসাক্ষীও করা হতে পারে। সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ”
এদিন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক এবং ‘গ্রুপ ডি’ নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ মোট ন’জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। গ্রুপ ডি মামলায় পেশ করা হয় প্রসন্ন রায় ও সুব্রত সামন্ত রায়কে। যাদের আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, জীবন সাহা সহ বেশ কয়েকজনকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।