বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গত মাস থেকে জেলবন্দি ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। একাধিক বার তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku)। অন্যদিকে, এরই মধ্যে মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সুজয়কৃষ্ণর স্ত্রী বাণী ভদ্র। বাড়িতে থাকাকালীন স্ত্রীর দেখভাল ‘কাকু’ নিজ হাতেই করতেন। তাঁর মৃত্যুতে জামিন না পেলেও প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন সুজয়বাবু।
প্রেসিডেন্ট সংশোধানাগার থেকে ফিরে বর্তমানে বেহালায় নিজের বাড়িতেই রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তবে বাড়ির নজরদারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সর্বক্ষণ বাইরে ১ জন আর অন্দরে পাহারায় ৩ জওয়ান। জানা গিয়েছে, যারা সমবেদনা জানাতে বা ‘কাকু’র সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, সেইসব আত্মীয়-পরিজনদেরও রীতিমতো জোর তল্লাশির পর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির ভিতরে।
মঙ্গলবার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্য়ে যোগ দেওয়ার জন্য় আদালতের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ। প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানান তিনি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরের পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে মেয়াদও বাড়িয়েছে। সব ঠিক আছে। তবে হঠাৎ সুজয়কৃষ্ণর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন?
জানিয়ে রাখি, কালীঘাটের কাকু যখন প্যারোলে মুক্তি চান সেই সময় হাইকোর্টে তার বিরোধিতা করেছিলেন ইডি-র (ED) আইনজীবী। ইডির বক্তব্য ছিল, ‘অভিযুক্তকে এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দেওয়া উচিত হবে না। কারণ এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দেওয়া হলে তিঁনি তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হতে পারে’। এরপরেই হাইকোর্ট কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার জন্য় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
আর কী কী নির্দেশ আদালতের? ‘কালীঘাটের কাকুকে স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য কোনও মন্দির বা কোনও স্থানে যেতে হলে তা ১০ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা আগে ইডিকে সেই বিষয়ে জ্ঞাত করতে হবে। তিনি কোন সময় কী করছেন, তার জন্য রেজিস্টার মেনটেইন করতে হবে।’ শুধু তাই নয়, ‘কাকু’র বাড়ির আশেপাশে কোনও ভিড় করা যাবে না বলেও সাফ নির্দেশ আদালতের।