নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! কিভাবে অভিষেককে নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল? CBI-র হাতে CCTV ফুটেজ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি মামলা। নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তলের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য তার ওপর চাপ দিয়েছে। এরপর এই মামলার জল এতটাই গড়ায় যে অভিষেককেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। যদিও কুন্তল বারংবার বলেন যে কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি চিঠি লেখেননি।

তবে কুন্তলের দাবি মানতে নারাজ সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি জেলে বসে টিভিতে অভিষেকের শহিদ মিনারের বক্তৃতা দেখার পরেই হয়ত ওই চিঠির পরিকল্পনা কুন্তলের মাথায় আসে। যুবনেতার দাবি অভিষেকের সভায় তিনি কী বলেছেন তার কোনও কিছুই তিনি জানেন না। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সিবিআই (CBI)।

   

গত ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে জেলবন্দি কুন্তলের গতিবিধির ফুটেজ আদালত থেকে সংগ্রহ করে ওই সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে সভায় অভিষেক অভিযোগ তোলেন, যে সারদা মামলায় এক সময়ে জেল হেফাজতে থাকা মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে চাপ তার নাম নিতে চাপ দিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। ঘটনাচক্রে এর পরেই গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল কুন্তল আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি পাঠিয়ে কুন্তল জানান, অভিষেকের নাম বলার জন্য তার উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে।

kuntal cctv

চিঠি-কাণ্ডের তদন্তে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, জেলে বন্দিদের টিভি দেখার সুযোগ রয়েছে। আর এইসব সূত্র ধরেই সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিন্ত হতে চাইছে, অভিষেকের সভা চলাকালীন কুন্তল সংশোধনাগারে ঠিক কোথায় ছিলেন। সত্যিই কী তিনি টিভির সামনে ছিলেন না!

পাশাপাশি চিঠিতে কুন্তল যে শারীরিক নির্যাতনের কথা লিখেছিলেন, তার সঙ্গে তার জেল-হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসার সাযুজ্য আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ইডি-র হেফাজতে থাকাকালীন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে কুন্তলের শারীরিক পরীক্ষা হত। তাই সেখান থেকেও রিপোর্ট সংগ্রহ করার পক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর