বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চর্চায় এখন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির নবতম সংযোজন এখন তিনিই। সম্প্রতি ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে তার বিষয়ে। এরই মধ্যে এবার জানা যাচ্ছে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল ৬ কোটির বাংলো উপহার! ঠিক এমনটাই দাবি ইডির।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ‘বাংলার বন্ধু’ ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের হাতে। সেই ট্রাস্টকে ৬ কোটি টাকার বাংলো উপহার দিয়েছিলেন বেহালার এক বাসিন্দা। সেই ব্যক্তিই এখন ইডির নজরে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
তবে শুধু ইনিই নন, জানা গিয়েছে কাকুর ট্রাস্টে বিপুল অঙ্কের টাকা দেন আরও বেশ কয়েকজন। ইডির আতসকাঁচের নীচে এবার সেই ব্যক্তিরাও। প্রসঙ্গত, গতকালই রুটিন মেডিক্যাল টেস্ট করাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন সুজয় কৃষ্ণ। বলেন, ” অভিষেককে ডাকাডাকি করে কোনও লাভ হবে না।” পাশাপাশি তার ৬টি কোম্পানিতে ২০-২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করলে কাকুর সটান জবাব, “তাতে আপনার কী?
এখানেই শেষ নয়। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমি কাজ করছি। সব হিসাব আমি ইডিকে দিয়েছি। সব কাগজ দিয়েছি।’ তার অ্যাকাউন্টে থাকা কোটি কোটি টাকার উৎস কি? এই প্রশ্ন করা হলে পাল্টা ‘কাকু’ বলেন, ‘তাতে আপনার কী আর ইডির কী? আদানি, আম্বানিদের কত টাকা আছে?’ তবে এই প্রথম নয়, গ্রেফতারের পর থেকেই ঘনঘন মেজাজ হারাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই আরেক গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম এসেছে গোপাল দলপতির। তার মুখেও ‘কাকু’র নাম শোনা গিয়েছিল। এরপরেই তদন্তকারীদের নজরে আসেন তিনি। এরপর দুবার তলব ও গত ২০ মে তার বাড়ি, ফ্ল্যাটে চিরুনি তল্লাশি চালানোর পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।