বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। টানা ৩৭ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর মার্চ মাসে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন অয়ন শীল (Ayan Sil)। একাধারে প্রোমোটার ও প্রযোজক অয়নের গ্রেফতারির পর থেকেই ৯০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়েছে বঙ্গের নিয়োগ মামলা। শুধু মাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় পুরসভার নিয়োগেও বছরের পর বছর চলেছে দেদার দুর্নীতি, খবর এমনটাই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পাহাড়প্রমান সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অয়নের। ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি অয়নের আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। আপাতত যত দূর জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের মোট ষোলোটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহেই আরও আটটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীরাদের।
অন্যদিকে, অয়ন মামলায় এবার ইডির স্ক্যানারে ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই তাকে তলব করতে চলেছে ইডি খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, ইমন অয়নের ছেলে অভিষেকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেই সূত্র ধরেই তাকে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গভীরে পৌঁছতে এবার অয়নের ছেলে অভিষেকের পরিচিত ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। অভিষেকের সংস্থায় যৌথ অংশীদারী রয়েছে ইমনের। এদিকে ইমনের বাবা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আমলা।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, একসাথে প্রায় ৬০টি পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছিল পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন’। তবে কার দৌলতে এই বরাত হাতে পেয়েছিল অয়ন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মরিয়া তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন পুরকর্তারা সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় রয়েছে।
ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্তা। তার সঙ্গে যে অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণও মিলেছে। সেই সূত্র ধরে অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের বরাত পায় কি না, সেই তথ্য জানতে ওই ব্যক্তিকেও জেরা করা হতে পারে সিবিআই সূত্রে খবর। অন্যদিকে, সম্প্রতি পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর করেছে সিবিআই। হাই কোর্টের নির্দেশের পর আলিপুর আদালতে এফএইআর জমা পরে। অয়ন শীলের নামও তাতে যুক্ত রয়েছে।