বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সাল থেকে শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)। স্বপ্ন বছর জুলাই মাসের ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ২০২৪ এর শেষে এসে জামিন পেয়েছেন অর্পিতা। তবে ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষ মুক্তি পেলেও সিবিআই মামলায় জেলমুক্তি হয়নি পার্থর। এরই মাঝে কলকাতায় বিচার ভবনে বিশেষ ইডি আদালতে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শুক্রবার নিম্ন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো ‘কাঠের পুতুল’কে সামনে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হতো। অর্পিতার নামে একাধিক কোম্পানি খুলে দুর্নীতির টাকা লগ্নি করে চলত এই কারবার। আর সব কিছুর মূলে হাত ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
ইডির দাবি অর্পিতা একা নন, তার মতো আরও বেশ কয়েকজন ‘কাঠের পুতুল’কে সামনে রেখে আর্থিক লেনদেন চলত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে ১৫ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী। পার্থ–মানিক-কল্যাণময় এই ত্রিভুজ সবের মূলে ছিল বলে দাবি ইডির।
আদালতে অর্পিতার আইনজীবীর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই তার মক্কেল সমস্ত নথিতে স্বাক্ষর করতেন। অভিনেত্রী অর্পিতা ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট’–এর ডিরেক্টর। তার নিজস্ব আয়ের উৎস ছিল। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সাথে তার কোনো যোগ নেই। এদিকে পার্থর আইনজীবী বলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বয়ানের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টাকা। রেকর্ডে অর্পিতার সই না থাকায় ইডির হেফাজতে থাকাকালীন তাকে দিয়ে জোর করে এই বয়ান লেখানো হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: হাতে গোলাপ, এক গাল হাসি! হঠাৎ বৈঠকে কল্যাণ-যোগী, ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে তার জন্য কি পার্থ দায়ী কেন সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিষয়ে আইনজীবী বলেন ওটা একটা স্বশাসিত সংস্থা। পার্থর কোনও ভূমিকা নেই তাতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ ডিসেম্বর।