বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জামিন পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। গত মঙ্গলবার জীবনের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি কেলেঙ্কারির জেরে গত বছর ১৭ এপ্রিল টানা ৬৫ ঘণ্টা জেরা ও বাড়ি অফিসে তল্লাশির পর গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই সময় দুর্নীতির পাশাপাশি তার জোড়া মোবাইল নিয়েও চর্চা কম হয়নি।
জানা গিয়েছিল, CBI আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে গিয়ে নিজের দুটো মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তথ্য লোপাট করতেই এই কাজ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পরে জোড়া মোবাইল উদ্ধার করতে শুরু হয় তল্লাশি। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চলে খোঁজ। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে উদ্ধার করা হয় বিধায়কের জোড়া ফোন। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, সেই ফোন থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য মিলেছে। এদিকে জামিন পাওয়ার পর সেই ফোনের কথা এবার তার মুখেও।
সুপ্রিম জামিন পাওয়ার পর পুকুরে ফোন ফেলে দেওয়া জীবন বলেন, তিনি মোবাইল পুকুরে ফেলেননি! বিধায়কের দাবি,’আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। সব প্রমাণ দিয়ে দেব।’ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘‘সময় এলেই সব প্রমাণ করে দেব।’’
বিধায়কের এক ঘনিষ্ঠ জানান, ‘সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সিবিআই ফোনটা বাজেয়াপ্ত করছে। এক আধিকারিক ফোনটিকে পাশেই রাখছেন। সেখান থেকে অন্য আর এক জন ফোনটি তোলেন। পাশাপাশি জীবনকৃষ্ণ যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে পুকুরে ফোন ফেলার কোনও সুযোগ ছিল না। বলেও জানান ওই ব্যক্তি। যদিও CCTV-র বিষয়ে বেশি কিছু এখনই খোলসা করতে চাননি জীবন। তিনি বলেন, ‘‘এটা বিচারাধীন বিষয়। তাই এখনই কিছু বলব না।’’
আরও পড়ুন: ‘রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদী মহিলার মুখ বেঁধে টেনে…’, ভয়ঙ্কর! নয়া অভিযোগে তোলপাড় সন্দেশখালি
প্রসঙ্গত, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। পরে সেই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের এই নেতা। মঙ্গলবার সেই মামলায় জীবনকৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রভাবশালী তত্ত্বে সিবিআই জীবনের জামিনের বিরোধীতা করলেও সুপ্রিম কোর্ট তাতে সাড়া দেয় নি।