বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বিরুদ্ধে বড়সড় অ্যাকশন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে জীবনের মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (Accounts Freezed) করে দিয়েছে সিবিআই (CBI), যার মধ্যে ৫টি বেসরকারি ও ৩টি সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিধায়কের ৮টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৭টি মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন শাখায় রয়েছে। অন্যদিকে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায়ও তার একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই সমস্ত ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়ে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বিধায়কের ওই ৮ অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা রয়েছে। তদন্তকারীদেরদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন এই জীবনকৃষ্ণ। সেই দুর্নীতির লেনদেনের হিসেব পেতে মরিয়া সিবিআই। সেই কারণেই এদিন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দিল তদন্তকারী সংস্থা।
বিধায়কের পাশাপাশি সিবিআই এর নজরে তার স্ত্রী টগরি সাহার অ্যাকাউন্টও। জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তার স্ত্রী টগরীর নামে ১১টি অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৩০ টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে, নগদ ছাড়া জীবনকৃষ্ণের অন্যান্য সম্পত্তির পরিমানও মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে তাতে সবমিলিয়ে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৩০০ কোটি বলে ধারণা তদন্তকারীদের। বিধায়কের পাশাপাশি একটি স্কুলের শিক্ষকও তিনি।
প্রসঙ্গত, টানা তিনদিন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার সকালে গ্রেফতার করা জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই সূত্রে খবর তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫ ব্যাগ ভরতি নথি। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার সেই নথি চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিজের জেলা ছাড়াও অন্যান্য আরও জেলার চাকরিপ্রার্থীদের সেখানে নাম আছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিধায়কের বাড়ি থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ তিনটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে অনুমান, চাকরি বিক্রি করে অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ।