বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সালটা ২০২২! বঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teacher Recruitment Corruption) অভিযোগের সূত্রপাত। সেই সময় তার আবেদনেই চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তবে এ বার বুমেরাং। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে চাকরি হারালেন সেই ববিতা সরকার (Babita Sarkar)।
প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যার অনিয়ম করে পাওয়া চাকরির বদলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। কিছুদিন পর থেকেই ববিতার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পর্যালোচনার পর শেষমেষ আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল ববিতার।
শুধু চাকরি বাতিলই নয়, সেই চাকরি কে পাবেন তাও জানিয়ে দিলেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশ, ববিতার চাকরি পাবেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) দ্রুত অনামিকাকে চাকরির সুপারিশপত্র দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি তাকে বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে চাকরির সুপারিশ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিলিগুড়ির ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়িরই এক এসএসসি উত্তীর্ণ অনামিকা রায়। অনিয়মের অভিযোগ তুলে অনামিকা বলেন, এসএসসি-র কাছে আবেদনের সময় ববিতার স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
শতকরা নম্বর বাড়ানোয় তার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। এরপর আদালতে চলছিল মামলা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলা উঠলে ববিতার চাকরি বাতিল করে অনামিকাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, ববিতা সরকারকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
গোটা টাকার মধ্যে ১১ লাখ টাকা ১৯ মে-এর মধ্যে এবং বাকিটা ৬ জুনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সুদ-সহ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই টাকা দুই দফায় অনামিকা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।