বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চর্চায় এখন কুন্তলের চিঠি। ইতিমধ্যেই সেই চিঠি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত হুগলীর প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষও (Kuntal Ghosh) বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন জেলবন্দি এই কুন্তল ঘোষ। তার সূত্র ধরেই একে একে গ্রেফতার হয়েছেন বহুজনা। আগের বছর থেকে ইডি হেফাজতে থাকলেও গত ৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দেন কুন্তল ঘোষ। চিঠিতে তিনি লেখেন, ইডি-সিবিআই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। যুবনেতার এই অভিযোগের পরই শোরগোল পরে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে।
অন্যদিকে, কুন্তলের আনা অভিযোগ নাকচ করে পাল্টা তদন্তকে প্রভাবিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কুন্তল, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে তার পর্যবেক্ষণে জানান, তদন্তের স্বার্থে কুন্তলের লেখা সেই চিঠির উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে কুন্তল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি ও সিবিআই।
পাশাপাশি, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও বলেন, অভিযুক্ত কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া হেস্টিংস থানা কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকি উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের কোনও থানা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে না বলেও নির্দেশ ছিল আদালতের।
এই চিঠি প্রসঙ্গেই উঠে আসে সম্প্রতি শহিদ মিনারে দেওয়া অভিষেকের বক্তব্য। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তার নাম নিতে চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, তার কিছুদিন পরেই কুন্তলও সেই একই অভিযোগ তোলেন। এরপরেই হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অভিষেকের বক্তব্যকেও তদন্তের বাইরে রাখা উচিত নয়।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। শীর্ষ আদালত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। আপাতত স্বস্তিতে অভিষেক। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের কাছে পৌঁছলেন জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ। সোমবার সেই মামলার শুনানি বলে জানা গিয়েছে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শুনবে হবে বলে সূত্রের খবর।