বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে চর্চার শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)। কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিধায়ক যুব নেতা সহ অনেকে। শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগেই জেলের কুঠুরিতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। দীর্ঘ দিন হয়ে গিয়েছে জেলের ঘানি টেনেই দিন কাটছে তার। পাতে পড়ছে জেলের খাবার। তবে সেই খাবার কী আর হেভিওয়েট এই নেতার মুখে রুচবে!
আগে জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন ছিল তার। সেখানে বৈভব ধরা দিয়েছিল। আর এখন জেলের খাবার খেতে খেতে এককথায় মুখ পচে গিয়েছে। তাই এবার মুখরোচক বিকল্প খাবারের আবদার করে বসলেন হুগলির কুন্তল ঘোষ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা সর্বত্র।
সূত্রের খবর, নিজের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কুন্তল বলেছেন ‘এই খাবার খাওয়া যাচ্ছে না। একটু পরিবর্তন করুন খাবারে’। যদিও নেতার আবদার মেটানো হয়নি জেল তরফে। কুন্তলের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বেজায় মনখারাপ নেতার। সূত্রের খবর তারপর থেকে আরও মনমরা হয়েছে রয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নালিশও ঠুকেছেন কুন্তল।
কুন্তলের দুপুর রাতের খাবারের রুটিনে থাকে কুমড়ো–আলুর তরকারি, ডাল–রুটি, ভাত -সবজি, পেঁপের তরকারি, মাছ, ডিমের ঝোল এইসবই। এলাগাতার এসব খাবারে তিতিবিরক্ত হয়ে সম্প্রতি একদিন কুন্তল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এগ চাউমিন খাওয়ানোর জন্য আবদার করেন বলেও জানা গিয়েছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তর সেই আবদার খারিজ করে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, জেলে কুন্তল নাকি তার সহ বন্দিদেরও বলেন, জেলের একই খাবার খেতে তাদের খাবারের প্ৰতি অনীহা আসে না? নেতার প্রশ্নের উত্তরে দুই জেল কর্মী বলেন, ‘জেলে তো সবাই সমান ব্রাদার। এখানে তো কেউ লাটসাহেব নয়।’ তখনও নাকি কুন্তল বলেছিলেন, ‘কতদিন এগ চাউমিন খেতে ইচ্ছে করছে। বললেও দিচ্ছে না। এই খাবার আর খেতে পারছি না।’