বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির রমরমা। শিক্ষক কেলেঙ্কারির দায়ে বহুদিন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তলরা। এরই মধ্যে নতুন বছরে এসে ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তৃণমূলের বিতাড়িত যুবনেতা কুন্তলের সুরেই এবার সুর মেলালেন তৃণমূল বিধায়ক।
মনিকের বিস্ফোরক দাবি, হেফাজতে অত্যাচার করছে ইডি (ED)। আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে তিনি অনুরোধ করেন, ‘আমি বিচার চাই। আসল সত্যি বেরিয়ে আসুক’। ওদিকে দেখতে দেখতে দেড় বছর অতিক্রান্ত। প্রায় ১৯ মাস ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।
বহুদিন ধরেই দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। কিছু খেতে অবধি পারছেন না। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন অর্পিতার আইনজীবী। গতকাল তথা বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশালের ইডি আদালতে (Court) পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ভার্চুয়ালি এবং মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলকে সশরীরে পেশ করা হয়।
এদের মধ্যে পার্থ, মানিক এবং সুজয়কৃষ্ণের জামিনের মামলা উচ্চ আদালতে চলছে। বাকিদের জন্য আইনজীবীদের তরফ থেকে জামিনের কোনও আবেদন করা হয়নি। বিচারক আগামী ২৭ মার্চ অবধি তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেদিনই তাঁদের ভার্চুয়াল শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: এবার বাংলায় মিটবে তেলের চাহিদা! ৩ হাজার কোটি খরচে তৈরি হচ্ছে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট
এদিন অর্পিতার আইনজীবী জানান, দাঁতের ব্যথায় কাবু অর্পিতা। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের তরফ থেকে স্রেফ পেইন কিলার দেওয়া হয়েছে। তবে এবার চিকিৎসার দরকার। অন্যদিকে অন্যতম অভিযুক্ত মানিক বিচারকের কাছে দাবি করেন, গত প্রায় দেড় বছর ধরে মিথ্যে অভিযোগে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ইডির ওপর অত্যাচার করার অভিযোগও আনেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের যে ‘বেনামী’ চিঠির ওপর ভিত্তি করে টেটের মামলা, তিনিও সেটির প্রাপক। তবে পরবর্তীকালে তিনিই অভিযুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবীর তরফ থেকে এই প্রেক্ষিতে বলা হয়, অভিযুক্ত নিজে এভাবে আবেদন জানাতে পারেন না। মানিকের এমন আচরণে খানিক উষ্মা প্রকাশ করে বিচারক বলেন, তাঁর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তিনি যেন লিখিতভাবে ‘প্রিজনার্স পিটিশন’ হিসেবে জেল সুপারের মাধ্যমে তা আদালতকে জানান। তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ার সঙ্গেই বিচারক মানিককে বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার কথা বলেন। পাশাপাশি জানান, তিনি যাতে দ্রুত বিচার পান তার চেষ্টা করা হবে।