বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত প্রায় দু’বছর ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বহুবার জামিনের আর্জি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।
বাকিদের সঙ্গে পার্থর (Partha Chatterjee) তুলনা করে লাভ নেই! মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। সম্প্রতি জেলমুক্তি হয়েছে পার্থ ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের। এদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী একাধিকবার নিজের মক্কেলের জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে বাকিদের জামিন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এদিনও মানিক ভট্টাচার্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের কথা বলে পার্থর জামিনের সওয়াল করেন তিনি। বাকিরা জামিন পেলে তাঁর মক্কেল কেন পাবে না? প্রশ্ন করেন পার্থর আইনজীবী।
এই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার পর্যবেক্ষণ, বাকিদের সঙ্গে নিজের তুলনা করার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) লজ্জা হওয়া উচিত! তাঁর এবং বাকি অভিযুক্তদের অবস্থান আলাদা। কারণ দুর্নীতির সময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ছিলেন, অন্য কেউ ছিলেন না। সেই কারণে বাকিদের সঙ্গে তুলনা করার আগে পার্থর লজ্জা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন জামাইয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কল্যাণের! সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশ দিল … তোলপাড়!
সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) প্রশ্ন, যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও পার্থ জামিন পান, তাহলে সমাজে কী বার্তা যাবে? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হয়তো ডামি সামনে রেখে দুর্নীতি করেছেন! এই আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন পার্থর জামিন মামলায় রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তের অগ্রগতির পর এই নিয়ে বিবেচনা করা যাবে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিকে ইডির তরফ থেকে আজ সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রত্যেকে জানিয়েছেন তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে কাজ করতেন। সেই কারণে তাঁদের সঙ্গে পার্থর অবস্থান এক হতে পারে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতাও জানিয়েছেন, নিজের ও মায়ের কথা ভেবে শুরুতে ভয়ে কিছু বলতে পারেননি। তাঁর বাড়ি থেকে যে ৫০ কোটি টাকা এবং নগদ উদ্ধার হয়েছিল সেই নিয়েও কিছু জানেন না। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই এই বিষয়ে যা বলার বলতে পারবেন।