বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার নবজোয়ার কর্মসূচী ঘিরে ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যাত্রা পথে আছড়ে পরে কুড়মি বিক্ষোভ (Kurmi Protest)। অন্যদিকে অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ, ঘটনার দিন হামলাকারীরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে ইট ও পাথরবৃষ্টি করে।
অন্যদিকে, হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ক্লিনচিট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমার কুড়মি ভাইয়েরা একাজ করতে পারে না’। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, কুড়মিদের নাম করে, বিজেপির স্লোগান নিয়ে, এই অত্যাচার করেছে বিজেপি দল’।
তবে এত কিছুর পরও হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হচ্ছেন একের পর এক কুড়মি নেতা। এবার এই কুড়মি অসন্তোষ নিয়ে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গতকাল আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্থ। সেখানেই একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ন মন্তব্য করেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।
ঠিক কি বললেন তিনি? কনভয়ে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো সহ আরও ৯ জন নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। যার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কুড়মি সমাজ। এই আবহেই এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে পার্থ বলেন, “কুড়মিদের সঙ্গে জঙ্গলমহলে সকলের সঙ্গে একটা আলাপ-আলোচনা করুন। দমনপীড়ন নীতি অবলম্বন করা বোধহয় ঠিক হবে না।”
এখানেই শেষ নয়! তিনি আরও বলেন, “আমি তাঁর প্রতি আস্থাশীল, আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরপ্রতি আস্থাশীল। বলতে চাই যে দমনপীড়ন নীতির বদলে আলাপ আলোচনার মধ্যেই তারা যেন এই সমস্যার সমাধান করে।”
প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনার জেরে কুড়মি নেতা রাজেশ-সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে পর দিনই এফআইআর দায়ের করা। পাশাপাশি শনিবারই খড়গপুরের স্কুল থেকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বদলি করা হয়েছে রাজেশ মাহাতোকে। হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মোট ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।