বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি বিক্রির অভিযোগ ছাড়িয়ে পোস্টিং বিক্রির (Posting Corruption) অভিযোগও উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। সেই নিয়েই এখন তোলপাড়। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মানিককে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে সিবিআই।
আর এরই মধ্যে এবার মানিক ভট্টাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে অন্তত ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (ED)। ইডির চার্জশিটে জানানো হয়েছে সেই সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ দুর্নীতির একটি মামলা ওঠে। মারাত্মক অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন সুকান্ত প্রামাণিক। এরপরই বিচারপতি মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেন। রাতের মধ্যেই সিবিআই টিমকে জেলে গিয়ে মানিককে জেরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সিবিআই এর পাশাপাশি ইডি-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। তার পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে ইডিও। সেদিনই মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ইডি। আর তারপরে মানিকবাবু ও তার পরিবারের সদস্যদের গচ্ছিত সম্পত্তির হিসেব নিতে গিয়ে রীতিমতো ‘থ’ গোয়েন্দারা।
চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, হদিস মেলা ওই ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে জেরায় মাত্র ২৫টির কথা স্বীকার করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছে, মানিক পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের ৩২টি কোম্পানিতে মোট ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। পাশাপাশি মানিকের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে পরিবারের লোকেদের আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যেগুলির তথ্য গোপন করা হয়েছিল।
পাশাপাশি কীভাবে টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে সেটাও একটি ফ্লো-চার্টের মাধ্যমে চার্জশিটে দেখিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, গতকালই মানিক ভট্টাচার্যের নামে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।