বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাকার বিনিময়ে চাকরি (Recruitment Scam) বিক্রির অভিযোগে গতবছর ফেব্রুয়ারী মাসে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল (Ranjan Mondal)। এই ‘রঞ্জন’ নামের সন্ধান দিয়েছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। ‘সৎ রঞ্জন’ ধরা পড়ার পর থেকেই চাকরি হারানোর ভয়ে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামাভাগ্নে গ্রাম। সেই সময় তেমন কিছু না হলেও এবারে আর আটকানো গেল না।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে, ২৫৭৫৩ জনের। এদের মধ্যেই আছেন উত্তর ২৪ পরগনায় চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাই কোর্টের রায়ের পরই দিনেও আধার নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়ার খবর মিলতেই দিশেহারা সকলে।
জানা গিয়েছে কেবল রঞ্জনের গ্রামেই নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরিহারা হয়েছে আদালতের এক রায়ে। এই প্রসঙ্গে চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, ”যাদের চাকরি গিয়েছে, তাদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে।” যদিও সবাই এর মধ্যে পড়ে না। কিছু কিছু ছেলে-মেয়ে নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর ১৩৪ কোটির বাজেয়াপ্ত! শুনেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন জাস্টিস সিনহা, বললেন…
মামাভাগিনা গ্রামে চাকরিহারা এক যুবকের আত্মীয় বলেন, ”কয়েক বছর আগে চাকরি বিক্রির সময় চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।” চন্দন গ্রেফতারির পরই মুখ খোলেন তার গ্রামের বেশ কিছু লোকজন। টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনতে কীভাবে সকাল থেকেই চন্দনের বাড়ির সামনে লাইন পড়ে যেত, তাও জানিয়েছিলেন অনেকেই। যদিও প্রথম থেকেই চন্দন দাবি করে এসেছেন, তিনি কারোর কাছ থেকে টাকা নেননি। চাকরি দিতেও পারেননি।