বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তালিকা। কুন্তল ঘোষের পর গত শুক্রবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলীর আরেক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। তবে যুবনেতা বললে ভুল হবে, এখন দুজনাই দলের প্রাক্তন। গতকাল তৃণমূল তরফে বহিষ্কার করা হয়েছে এই দুই নেতাকে।
অন্যদিকে, এরই মধ্যে সামনে আরেক খবর। দলের পর এবার নিজের চাকরি থেকেও সাসপেন্ড (Suspended) করা হল হুগলীর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শাসকদল তরফে বহিষ্কার করার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, পদের সাথে সাথে এবার চাকরিও খোয়ালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শান্তনুর বাবার অকাল মৃত্যুতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন শান্তনু। জানিয়ে রাখি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন যুবনেতা বলাগড়ের সোমড়াবাজারের মগরা বিদ্যুৎ দফতরে ছিলেন কর্মরত ছিলেন। বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শান্তনুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
তবে সেই সংস্থারই কিছু কর্মী জানিয়েছিলেন চাকুরীরত থাকলেও নিয়মিত কাজে যেতেন না শান্তনু। মাঝে মধ্যেই তাকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় দেখা যেত। জানিয়ে রাখি, কোনও সরকারি কর্মী ৭২ ঘণ্টার বেশি পুলিশ হেফাজতে থাকলে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এমনটাই নিয়ম। সেই নিয়ম মেনেই এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে শান্তনুকে।
উল্লেখ্য, শান্তনুর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক পদে চাকরি করতেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ায় ২০০৮ সালে সেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। স্নাতক ডিগ্রি না থাকায় বাবার পদে চাকরি হয়নি শান্তনুর। তার চেয়ে নিচু পদে কাজ পান তিনি। চাকরি মামলায় ধৃত শান্তনুর চাকরিজীবন শুরু হয়েছিল খানাকুল থেকে। পরে সোমড়াবাজারে বাড়ির কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। তবে স্থানীয় কিছু মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্রথমের দিকে নিয়মিত অফিস আসলেও ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পর রেখেই ভাবভঙ্গি পাল্টে যায়। সেই সময় থেকেই অফিসের আর সেরম দেখা যেত না শান্তনুকে।