বুকে ‘ব্যথা’ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামতেই ‘কালীঘাটের কাকু’র ‘কু-কথা’র ফুলঝুড়ি! যা হল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবারই বাইপাস সার্জারির পর হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু। তবে ফিরতে না ফিরতেই বিপত্তি। জানা যায় প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ফের বুকে ‘ব্যথা’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাকু। এরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে।

আর সেখানেই বেসামাল ‘কালীঘাটের কাকু’। সূত্রের খবর, সেখানেই ইডির তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করতেই রীতিমতো মেজাজ হারান ভদ্রবাবু। এরপরই কালীঘাটের কাকুর মুখে কু-কথার স্রোত। গালির ফুলঝুরি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন তাকে। এরপর ইডির তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করলেই মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের’ অফিসে তল্লাশি চালায় ইডির আধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই খবর, ঘন্টার পর ঘন্টা তল্লাশিতে ১ হাজার পাতার নথি, বেশ কয়েকটি লেজার বুক, ডিজিটাল নথি ও হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ডুবতে চলেছে রাজ্যের ১১ জেলা! তড়িঘড়ি সতর্কতা জারি IMD-র

পাশাপাশি তল্লাশিতে ৩-৪ টি সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে হদিস মিলেছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে সেদিন রাতভর অফিসের ৩ কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০-এ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকে ৩ খানা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায় ইডি।

Recruitment Scam

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে সম্প্রতি এক ট্যুইট করে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের চিনুন। পাশাপাশি শুভেন্দুর দেওয়া একটি ছবিতে, কোম্পানির ডিরেক্টরদের নামের একটি তালিকা দেখা যায়।

আরও পড়ুন: র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ মমতার! আর নেই নিস্তার, এবার জালে পড়তে চলেছে সমস্ত রাঘব বোয়াল

যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় ডিরেক্টরদের মধ্যে অমিত বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, লতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম ছিল। অর্থাৎ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের পরিবার এই কোম্পানির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।

এই সংস্থারই চিফ অপারেটিং অফিসার বা COO ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ED সূত্রে খবর এমনটাই। ওদিকে সম্প্রতি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে বলা হয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কোম্পানি এসডি কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা দেওয়া লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। এবার পরবর্তীতে এই তদন্ত কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর