বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যতই দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িতদের তালিকা। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ হুগলির অয়ন শীল (Ayan Shil)। এই প্রোমোটার-প্রযোজককে গ্রেফতারির পরেই উঠে আসে আরও এক রহস্যময়ীর নাম-শ্বেতা চক্রবর্তী (Sweta Chakraborty)। কামারহাটি পুরসভায় সহকারী ইঞ্জিনিয়র তিনি। অন্যদিকে, মডেল অভিনেত্রীও।
অয়ন যোগে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তার। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এখনও ওঠে নি। ইডি তলবও করেনি। শ্বেতার দাবি, এরপরেও সামাজিক ক্ষেত্রে পদে পদে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খোলেন শ্বেতা। দুর্নীতিতে তার নাম উঠে আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। সেই কারণে কাজের জায়গায়তেও সমস্যায় পড়তে তাকে। এদিন এমনটাই বলেন শ্বেতা চক্রবর্তী।
আর কী কী অভিযোগ শ্বেতার? তার কথায়, “আমার অফিসের সামনে সবসময় মিডিয়ার ভিড়। আমাকে রাস্তার মধ্যে গাড়ির নিয়ে ধাওয়া করা হচ্ছে। আগের দিন আমার রাস্তার মধ্যে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি যা বলার বলে দিয়েছি। আমি মন দিয়ে কাজ করতে পারছি না। ডিপার্টমেন্টে অনেকে ঢুকে যাচ্ছে।’
অফিসে সহকর্মীরা সহযোগিতা করলেও সামাজিকভাবে প্রতিমুহূর্তে তাকে নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্বেতার। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, “গত রবিবার আমি ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ ভোরবেলা বাড়িতে দু’জন অচেনা লোক বাড়িতে চলে আসে। তারা বাবাকে নিজেদের পরিচয়ও দেয়নি। বাবা দরজা খুলে দেয়। তারপর একপ্রকার জোর করেই তারা আমার বেডরুমে ঢুকে যায়। আমি চাদরমুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি দু’জন অচেনা লোক।”
ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে শ্বেতা বলেন, “আমার বাবা বয়স্ক মানুষ। তার পেসমেকার বসানো রয়েছে। তারা বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপরেও আমার বেডরুমে তারা ঢোকার চেষ্টা করে। আমার দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সবকিছুই তদন্তসাপেক্ষ। আমি তো কোনও তলব পায়নি! তার আগেই আমি কাঠগোড়ায়। আমার মান সম্মান সব চলে যাচ্ছে।”
আর এই হেনস্থার কারণেই কামারহাটি পুরসভায় তিনি ৩ দিন কাজে যাননি বলেও জানান। তবে এদিনও অয়নের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নিজের আগের কথাতেই অনড় তিনি। শ্বেতা বলেন, শুধুমাত্র কাজের সূত্রেই অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। পাশাপাশি কোনওভাবেই কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে নন বলেও জানান তিনি।