‘পুষ্পা’র ধাঁচে মেডিক্যাল ভ্যানে পাচার হত লাল চন্দন, ডুয়ার্সে হদিশ মিলল করেক কোটি টাকার চন্দনের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘পুষ্পা! ম্যায় ঝুঁকেগা নেহি…’, সংলাপটা মোটামুটি সবায়েরই পরিচিত। দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার আল্লু আর্জুন (Allu Arjun) ব্লকবাস্টার ছবি ‘পুষ্পার’ ডায়লগ এটি। এবার ‘পুষ্পা’ ছবির অনুকরণেই লাল চন্দন পাচারের অদ্ভুত কায়দা আয়ত্ত করেছিল একদল পাচারকারী (Red Sandal Wood Smuggling)। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না এই যা। পুলিশের হাতে হাতে ধরা পড়ল প্রায় গোটা দল।

চন্দন কাঠ পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু সেই কাঠ প্রতিবেশী দেশে পাচারের জন্য করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর কৌশলে ছিল নতুনত্ব। পাচারের এই অভিনব পদ্ধতি দেখে মাথায় হাত বন দফতরেরও। ডুয়ার্সের এই পুষ্পা গ্যাং-এর সেই ছকই একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলল বন দফতর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাল চন্দন কাঠ এনে মজুত করে রাখা হচ্ছিল ডুয়ার্সে। আর সেই কাঠ পাচার হতো ভুটানে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুষ্পা গ্যাং-এর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে বন দফতর। তাদের জেরা করেই প্রায় কয়েক কোটি টাকার লাল চন্দন কাঠের খোঁজ পাওয়া যায়। বন দফতর ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে।

বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত লকডাউনকে কাজে লাগিয়েই মেডিক্যাল ভ্যানে লাল চন্দন কাঠ নিয়ে আসত পাচারকারীরা। ভুটানে পাচারের উদ্দেশ্যেই সেগুলি ডুয়ার্সে রাখা থাকত। ধৃতদের জেরা করে এই সমস্ত তথ্যই পেয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। কোথায় রাখা আছে আরও লাল চন্দন কাঠ? সেই হদিশ পাওয়ার জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে দফতর।

জানা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের তেলিপাড়া থেকে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক কুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ। যার বাজারমূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এক কেজি লাল চন্দন কাঠের দামই বর্তমানে কয়েক হাজার টাকা। বিগত বছর দুই ধরেই নাকি এই পাচারের ব্যাবসা বপশ রমরমিয়ে চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

বন দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ভারত থেকে মেডিক্যাল ভ্যানের করে আনা হত লাল চন্দন কাঠ। ডুয়ার্সে কোচবিহারে তা মজুত করা রাখা হত। তারপর সময় সুযোগ বুঝে পাচার করা হত ভুটানে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডুয়ার্সের তেলিপাড়ায় হানা দেয় বন দফতরের আধিকারিকরা। তারপরই প্রকাশ্যে আসে এই কারবার। জানা যাচ্ছে, ভুটানের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ওই পাচারকারীদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা।

বন দফতরের আধিকারিকরা অনুমান করছেন ডুয়ার্সে এবং আশপাশের এলাকায় এমন অনেক ঘাঁটি আছে, যেখানে এ ভাবে চন্দনকাঠ মজুত করা হয়। নেপাল এবং ভুটানে মূলত পাচার করা হয় সেই সমস্ত কাঠ। এই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত বলে সন্দেহ করছে বন দফতর। ধৃতদের হেফাজতে নিলে আরও একাধিক অনেক তথ্য জানা যাবে বলে অনুমান বন দফতরের।

X