এবার কপাল খুললো বাংলার! ব্রিটেন থেকে সরল হেড অফিস, কলকাতায় আনার প্ল্যান এই কোম্পানির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে তারাতলার ব্রিটানিয়া কোম্পানির কারখানা বন্ধ হয়েছে। ব্রিটানিয়া সংস্থা তাদের এই ইউনিট সরিয়ে নিয়ে গেছে ঝাড়খন্ডে। তবে সেই বাম জমানা থেকেই শুরু হয়েছিল এই ট্রেন্ড। অনেকেই অভিযোগ করেন তৎকালীন বাম সরকারের শ্রমিক ইউনিয়নের দাদাগিরিই দায়ী এই অবস্থার জন্য।

কলকাতায় (Kolkata) সরিয়ে আনা হচ্ছে জনপ্রিয় সংস্থার হেড অফিসকে

তারফলে একাধিক সংস্থা বাংলা (West Bengal) থেকে নিজেদের কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে এবার বাংলায় দেখা গেল উল্টো চিত্র। RedoQ’র সদর দপ্তর ব্রিটেন (Britain) থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায় (Kolkata)। বিশ্ব বিখ্যাত আইটি সংস্থা RedoQ’র সদর দপ্তর কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে আসা নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক অতীতে একটি বিরল ঘটনা।

   

আরোও পড়ুন : Chanakya:কীভাবে পড়াশোনায় তুখোড় করে তুলবেন সন্তানকে?জেনে নিন কী বলছেন আচার্য চাণক্য

অনেকেই বলছেন, এই ঘটনার ফলে আগামী দিনে কলকাতা তথা বাংলার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র আরো প্রসিদ্ধ হতে চলেছে। RedoQ’ সংস্থা নিজেদের অফিস খোলার জন্য জায়গা নিয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ইনফিনিটি আইটি লেগুন বিল্ডিংয়ে। জানা যাচ্ছে, এই অফিসে একসাথে আড়াইশো জন মতো কর্মী কাজ করতে পারবেন।

আরোও পড়ুন : আসছে সমর-২! সমর-১’র সফলতার পর নয়া উদ্যোগ ভারতের, শীঘ্রই হবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কলকাতায় (Kolkata) সদর দপ্তর খোলার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতবর্ষ সহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের ব্যবসার প্রসার ঘটানো। ইউরোপের খাদ্য ও পানীয় শিল্পের আইটি সল্যুশন হিসেবে ২০১০ সালে নিজেদের যাত্রা শুরু করে RedoQ। বর্তমানে এই সংস্থা কাজ করছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া মহাদেশের আটটিরও বেশি দেশে।

সংস্থার সদর দপ্তর ব্রিটেন থেকে কলকাতায় (Kolkata) সরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে সংস্থা জানিয়েছে, “ইউরোপিয়ান দেশগুলির তুলনায় ভারতে তথা বাংলায় খরচ অনেকটাই কম। এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্তত ৩০ শতাংশ খরচ হ্রাস পাবে সংস্থার। এছাড়াও বাংলায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত দক্ষ কর্মীর যোগান রয়েছে পর্যাপ্ত।”

ANI 20240725071725.png

RedoQ-এর সিইও দীপল দত্তর কথায়, “আমরা ভারতে যাওয়ার বিষয়ে উত্তেজিত। সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ প্রত্যেকের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের ডিজিটাল সমাধান প্রদানের আমাদের লক্ষ্যের সাথে সারিবদ্ধ। ভারতের প্রগতিশীল পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ প্রতিভার পুল এটিকে আমাদের নতুন হাবের জন্য একটি আদর্শ অবস্থানে পরিণত করেছে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর